বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের কাজে বরাদ্দকৃত টাকা লুটপাট ও অনিয়ম দেখা দিয়েছে। গত ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে স্কুলে স্লিপ ও ক্ষুদ্র মেরামতের টাকা উত্তোলন করলেও অত্র স্কুলে তেমন কোন কাজ করা হয়নি। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জোড়াতালি দিয়ে কিছু কাজ করে ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের অধীনস্ত কামালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়,গত ২০২১-২২ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছর অধিক ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা দেখিয়ে দুইটি স্লিপে ৫০/৫০ হাজার করে মোট ১ লক্ষ ও ক্ষুদ্র মেরামতের জন্য ২ লক্ষ টাকা স্কুলে বরাদ্দ নেয়া হয়। কিন্তু সরেজমিনে তথ্য সূত্রে পাওয়া যায় অত্র স্কুলে ক্লাস ওয়ান থেকে ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৬/৭ জন আর শিক্ষক সংখ্যা ৬ জন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন খাতের খরচ ভাউচারের কাগজপত্র কম্পিউটারে সিট লেখা আবার কিছু কাগজপত্র হাতে লেখা যাহা একটি আরেকটির সাথে কোন মিল নাই বা সাংঘর্ষিক এবং ওই কাগজপত্র প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটিসহ কোন কর্তৃপক্ষের সহি স্বাক্ষর ব্যতীত ভুয়া বিল-ভাউচার দেখিয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে ৫ থেকে ৭ শতাংশ কমিশন দিয়ে পুরো টাকা উত্তোলন করে নিয়ে আসেন। সরেজমিনে গিয়ে আরো জানা যায়,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ম্যানেজিং কমিটির একজন সহ-সভাপতি জানাই যে,সভাপতি সাহেবের বাড়ি দূরে হওয়ায় অত্র স্কুলের অধিকাংশ কার্যক্রমেই আমি দেখভাল এবং কার্যক্রম করে থাকি সেই সূত্রে আমি যতটুকু দেখেছি এবং তাদের সাথে থেকে কাজ করেছি সেটা ক্ষুদ্র মেরামতের দুই লক্ষ টাকার কিছু কাজ হয়েছে আর বাকি স্লিপের এক লক্ষ টাকার কথা স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানোও হয়নি আর সেই টাকার কোন কাজও আমরা করিনি বা জানতেও পারেনি। এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি সূত্রে জানা যায়,উক্ত স্কুলের নব্য সহকারী শিক্ষকদেরকে নিয়ে যোগসাজশের মাধ্যমে পুরো টাকা প্রধান শিক্ষক এই বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থ তছরুপ বা আত্মসাৎ করে অনিয়ম তান্ত্রিক ভাবে লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে সারিয়াকান্দি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জানান যে, এ বিষয়ে সত্যতা যাচাই বাছাই করে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় বিধি-ব্যবস্থা নেয়া হবে।