কুমিল্লার নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ ডক্টর মজিবল হায়দার চৌধুরী'র বদলির সুপারিশ গত ১৮ অক্টোবর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ সরকারি কলেজ-২ শাখা, সচিবালয়, ঢাকা থেকে প্রকাশিত হয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত ওই আদেশে অধ্যক্ষ মজিবল হায়দার চৌধুরীকে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজে পদার্থবিদ্যা বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে যুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও তিনি তা অমান্য করে এখনো আছেন বহাল তবিয়তে। বদলি আদেশে ২৫ অক্টোবর বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া থাকলেও তিনি সোমবারও নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের আসনে বসে প্রশাসনিক কাজ করেছেন। ওই আদেশে আরো উল্লেখ আছে উল্লিখিত তারিখের মধ্যে বদলি করানো ব্যক্তি নিজেকে অবমুক্ত না করলে তাৎক্ষণিক ভাবে অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ের আন্দোলন করায় কলেজ অধ্যক্ষ মজিবল হায়দার চৌধুরী কলেজ ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান অনির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং থানা পুলিশে খবর দেয় ও কলেজ অফিস সহকারী মনির হোসেনকে বাদী করে অনি সহ ৭জনকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় সাধারণ ডায়েরি করে। ফলে ছাত্রদের একাংশের মাঝে অধ্যক্ষের বিষয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি সংবাদ প্রচার ও সংবাদ সম্মেলন করে।
অধ্যক্ষ মজিবল হায়দার চৌধুরী বলেন, অর্থমন্ত্রী মহোদয় বলেছে আমাকে কাজ করতে, আমার বদলি বাতিল হবে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান মেহেবুব বলেন, যেহেতু অধ্যক্ষের বদলির আদেশ হয়েছে এবং ২৫ তারিখের মধ্যে চলে যাওয়ার নির্দেশনা বদলি আদেশে দেয়া আছে, সেহেতু উনি এখন কলেজে আসা বা কলেজের অফিসিয়াল কার্যক্রম করা আইন বহির্ভূত।