তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশের ভিশন ২০৪১ আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে দিয়েছেন। তাদেরকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়েছেন টেকনিক্যাল শিক্ষা উপরে। আমাদের পাঁচ কোটি ছাত্র-ছাত্রীদেরকে আমরা যেভাবে গড়ে তুলবো সেভাবেই আমাদের আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। তারা যদি সঠিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারে তাহলে যার যার গ্রামে বসেই নিজেরা প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে এবং দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখতে পারবে।
সোমবার দিনব্যাপি নাটোরের সিংড়া উপজেলার ইটালী ইউনিয়নে প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত তাজপুর ও মাগুড়া তিন কিলোমিটার পৃথক দুটি সাবমার্সিবল রাস্তা এবং ৮ কোটি টাকা ব্যায়ে চারটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাডেমিক ভবন শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব বলেন। পরে বিয়াশ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় ডাহিয়া ইউনিয়নের সাড়ে পাঁচ হাজার সুবিধাভোগীদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।
এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ওহিদুর রহমান শেখ, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজি, সিংড়ার বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী মানিক রতন, ইটালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম, ডাহিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল মজিদ মামুন, উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আনিছুর রহমান প্রমূখ।
পলক আরো বলেন, যে উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, বিগত ৩৭ বছরে যারা সিংড়ার দায়িত্বে ছিলো তারা কেউই করতে পারেনি। দেশের মানুষের প্রতি যদি মায়া না থাকে, দেশের প্রতি যদি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কোনো রাজনৈতিক দল বা নেতা এলাকার উন্নয়ন করতে পারে না। আমি যখন প্রথম এমপি হয়ে ঢাকা গেলাম প্রথমবার তখন মানুষ আমাকে বলেছিলো, ‘কাদাখুঁচা চলনবিল’এর এমপি এসেছে। আজ ১৪ বছর পর আমাদের আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। এখন আর কাঁদাখুঁচা না, এখন শার্ট প্যান্ট পড়ে আমরা ভদ্রলোক সেজে ঢাকা যেতে পারি।