রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভালুকগাছি ইউনিয়নের ২০ শতাংশ জমি চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্য মিলে এক স্থানীয় ব্যক্তিকে টাকার বিনিময়ে দখল দেওয়ার চেষ্টা করে বলে স্থানীয় এলাবাসীরা অভিযোগ তুলেছেন। দেখা গেছে, রোববার ৫ নভেম্বর ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদের পূর্ব পাশের জায়গা ২০ শতাংশ জমির দাবিদার আবদুল জলিল তার জায়গা দখল নেওয়ার জন্য সীমানা নির্ধারণের চেষ্টা করছে। তাদের সহযোগিতা করছে ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লর রহমান এবং তিনজন ইউপি সদস্য। পরে অন্য আরো কয়েকজন ইউপি সদস্য ও এলাকাবাসীর প্রতিরোধের মুখে চেয়ারম্যানের নির্দেশে সীমানা নির্ধারণী স্থানটির দখলকৃত অংশটি তুলে ফেলা হয়। স্থানীয় কামরুল ইসলাম বলেন, আমার জন্মের পর থেকে এখানে ইউনিয়ন পরিষদ দেখে আসছি। কতিপয় কিছু ব্যক্তির নিজের স্বার্থের জন্য অন্যান্যের সঙ্গে সমঝোতা করে জমিটি দখল করে বিক্রির করার পাঁয়তারা করছে। আমি শুনেছি চেয়ারম্যান জমিটি বিক্রি করে দিয়েছেন। সুলতান নামের ব্যক্তি বলেন, ১৯৫৬ সাল হতে এই জমি ইউনিয়ন পরিষদ ভোগ দখল করে আসছে। চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ দিয়ে নিজে জমি বাহির করে দিয়েছেন। শুনেছি মোটা অংকের টাকা লেন-দেন হয়েছে। দুলাল নামের ব্যক্তি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ তৈরি করার সময়ে জমিটি এলাকাবাসী দান করে ছিলেন। হঠাৎ করে তাদের ছেলেরা এসে নিজেদের জমি বলে দাবী করছে। কিন্তু আঃ জলিলের কোনো দলিল নেই। কিন্তু তাদের নামে জমির রেকর্ড রয়েছে বলে দাবি করছে। ইউপি সদস্য আনিছুর রহমান বলেন,এক ব্যক্তি পরিষদে অভিযোগ করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে চেয়ারম্যান আমাদের তিনজনকে বিষয়টি দেখার দায়িত্ব দিয়েছেন। তারজন্য আমরা ৪ নভেম্বর জমিটি মাপ করে সীমানা নির্ধারণ করেছি মাত্র। জমি কাউকে আমরা এখনো দিয়ে দেয়নি। শুধুমাত্র মেপেছি। ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান আন্টু ও মিলন হোসেন বলেন, চেয়ারম্যানের নিজস্ব লোক দিয়ে একটা শালিস করে অন্যকে জমি দখল করে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিসের ভিত্তিতে জমিটির দখল দিচ্ছেন তা আমাদের জানা নেই। যদি ইউনিয়ন পরিষদের জমি বাহির করে দিতে হয়,তাহলে আমরা ১২ জন ইউপি সদস্যদের চেয়ারম্যান জানাতে পারতেন। আমরা জমি বাহির করার ব্যাপারে কিছুই জানি না। ২০ শতাংশ জমির দাবিদার আবদুল জলিল বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সাথে থাকা পূর্ব পাশের জমি আমাদের। ইউনিয়ন পরিষদ যদি প্রচীর দিয়ে জমিটি ঘিরে নেয়। তাহলে আমারদের কোনো দাবী থাকবে না। প্রয়োজনে আমারা পরিষদের নামে লিখে দেব। এ ব্যাপারে ভালুকগাছি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান বলেন, পরিষদের জমি বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। আমার নিকট জমি নিয়ে একটি অভিযোগ আসলে আমি তিনজন সদস্যকে জমিটির বিষয়ে দেখার জন্য বলেছি।