কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার ১২টি ইট খলা ও নিকলী উপজেলার ৪টি ইট ভাটার মধ্যে কাঁচা ইট কাটার শ্রমিকদের মাঝে ধুম পড়ে গেছে। কিন্তু অর্ধেকের ও বেশি ইট ভাটার মধ্যে শতভাগ কাগজ নেই বলে অভিযোগ উঠেছে। এসব ইট ভাঁটা গুলো গ্রাম থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলে থাকার কথা থাকলেও গ্রামের পাশে এই ভাঁটা গুলো থাকার কারণে স্ব স্ব এলাকার মানুষের যেমন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে, তেমনিই ভাবে ইট ভাটার ধোঁয়ার কারণে বিভিন্ন ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। জানা যায়, ইট ভাঁটা গুলোতে শিশু শ্রমিক ও দেখতে পাওয়া যায় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এই শিশু শ্রমিকরা যে সময় বই হাতে নিয়ে বিদ্যালয়ে যাওয়ার কথা সে সময়ে অভাবের কারণে তারা কম মূল্যে মা বাবার সাথে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে। অন্যদিকে ইট ভাটার মালিকরা প্রতি ইটে শ্রমিকদের ১ টাকা ৩০ পয়সা থেকে ২ টাকা পর্যন্ত দিয়ে থাকেন। কিন্তু ইট ভাটার মালিকরা ইট পুড়িয়ে প্রতি হাজার ইট ১২ হাজার থেকে ১২৫০০ টাকায় বিক্রি করে থাকেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ইট ভাটার মালিকরা বলেন, গত তিন বছর আগে প্রতি টন কয়লা ৮ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকায় কয়লা কিনতেন। সেই কয়লা প্রতি টন ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকায় কিনার কারণে ইটের দাম বেড়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন।