ঘোড়াঘাটে স্ত্রী হত্যার অপরাধে স্বামীকে আটক করেছে থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অবস্) আব্দুল্লাহ আল মাসুম ঘোড়াঘাট থানায় সাংবাদিকদের সামনে এক প্রেস কনফারেন্স করেন। এ সময় তার সাথে ছিলেন ঘোড়াঘাট-হাকিমপুরের সিনিয়র সহকারী সার্কেল শরিফুল ইসলাম, ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান আসাদ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এনামুল হক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আজিজার রহমান। প্রেস কনফারেন্সে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ঘোড়াঘাট উপজেলার ২নং পালশা ইউপির মরিচা গ্রামের মৃত নওশা মিয়ার ছেলে সাগর আহমদের (২৪) সাথে পাঁচবিবি উপজেলার পশ্চিম বালিঘাটার টি এ্যান্ট টি পাড়ার ফিরোজ মিয়ার মেয়ে ফেরদৌসি বেগমের (২২) সাথে ৪ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে দীর্ঘদিনেও তাদের সন্তানাদি না হওয়ায় স্ত্রীর উপর শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিলো তার স্বামী বাড়ীর লোকজন। এরই একপর্যায়ে সাগরের স্ত্রী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে পাঁচবিবি উপজেলার নানার বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। ঘটনার ১০/১৫দিন পুর্বে আসামি সাগর স্ত্রীকে আনতে নানা শ^শুড় বাড়ীতে গেলে সেখানে নানা বাড়ীর লোকজন তাকে শাসন করে ফেরদৌসিকে স্বামীর বাড়ী পাঠিয়ে দেয়। ঘটনার দিন গত ৮/১১/২৩ইং বেলা ১২টার দিকে সাগর তার স্ত্রীকে বাড়ীর অদুরে গরুর ঘাস কাটার জন্য মাঠে পাঠিয়ে দেয়। এই সুযোগে আসামি সাগর সেখানে গিয়ে স্ত্রী ফেরদৌসিকে গলায় রশি পেঁচিয়ে হত্যা করে মাঠে ফেলে রাখে। পরে বেলা ৩টার দিকে কিছু আদিবিাসী লোককজন ওই পথ দিয়ে যাওয়ার সময় লাশ দেখতে পেয়ে গ্রামের লোকজনকে সংবাদ দেয়। পরে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশে খবর দিলে বুধবার রাতে থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর জেলা মর্গে প্রেরন করে। এ ব্যাপারে নিহতের নানা সমসের আলী (৬১) বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করে।