নীলফামারীর সৈয়দপুরে মাছ হাটির কারণে নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রাস্তা। মাছ বহনকারী গাড়ীতে মাছের সাথে থাকে পানি। ওই পানি অবাধে ফেলা হচ্ছে রাস্তার ওপর। ফলে পানির কারণে অল্প সময়ে রাস্তা থেকে সরে যাচ্ছে বিটুমিন ও খোয়া। যার ফলে রাস্তায় বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হচ্ছে। এ অনিয়ম দেখে সাবেক পৌর মেয়র মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার শহরের প্রাণ কেন্দ্র থেকে মাছ হাটি সড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করে। কিন্তু তার পুর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। সে সময় তিনি কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করে ওই রাস্তার ভাঙা স্থানটুকু ঢালাই দিয়ে জনগনের চলাচলের দুর্ভোগ লাঘব করে।
বর্তমানে পৌর পরিষদে নতুন মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী। তিনি দায়িত্ব নেয়ার পর রাস্তাগুলোর সংস্কার কাজের উদ্যোগ নেন। কোন কোন রাস্তার কাজের উদ্বোধনও করেছেন তিনি। চলমান রয়েছে কোন কোন রাস্তার সংস্কার কাজ।
সৈয়দপুর শহরের প্রাণ কেন্দ্র শহীদ ডাঃ জিকরুল হক ও শহীদ ডাঃ সামশুল হক সড়কের মধ্যস্থানে রয়েছে একটি মাছ হাটি। এ মাছ হাটিতে প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে বড় ছোট মিলে প্রায় ২০ থেকে ৩০টি গাড়ী মাছ নিয়ে এ হাটে আসে। ওই সকল গাড়ীতে মাছের সাথে থাকে প্রচুর পরিমান পানি। গাড়ীগুলো এ স্থানে এলে সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করে রাখা হয় রাস্তার ওপর। সে সময় প্রত্যেক গাড়ীতে মাছের সাথে রাখা পানি ফেলানো হয় সরাসরি রাস্তায়। ফলে ওই পানির কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা। বর্তমানে ওই স্থানে রাস্তার বারো অবস্থা। চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছে জনসাধারণ। পাশাপাশি ওই পথে রিক্সা, অটোরিকশা, ইজিবাইকসহ অন্যান্য ছোট বড় যানবাহন চলাচল কষৃটসাধ্য হয়ে পড়ছে।
ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু দলীয় একটি মামলায় রয়েছে হাজতে। পৌর মেয়র এ রাস্তার করুণ অবস্থা প্রতিদিন নিজ চোখে দেখলেও সংস্কারে তিনি কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।
এ ব্যাপার কথা হলে তিনি বলেন,মাছ বহনকারী গাড়ীর পানিতে রাস্তা নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে পৌর পরিষদের মাসিক সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সৈয়দপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন বলেন,রাস্তাগুলোর অবস্থা ভাল নেই। পৌরসভার দায়িত্ব রাস্তা সংস্কার করা। মেয়র মহোদয় কেন রাস্তা ঠিক করছেন না তা সন্দহজনক।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আবদুস সবুর আলম জানান, মাছ হাটি শহর থেকে সড়াতে হবে। তাহলে রাস্তা নষ্ট হবে না।
সৈয়দপুর মাছ ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি নুর জানান, আমরা বিভিন্ন স্থান মাছ নিয়ে আসি। গাড়ীগুলো দাঁড়ানোর কোন স্থান না থাকায় প্রধান রাস্তায় দাঁড় করিয়ে মাছ আনলোড করা হয়। সে সময় মাছ বহনকারী গাড়ীর পানি রাস্তায় ফেলা হয়। যার কারণে রাস্তা নষ্ট হয়ে থাকে।