জামালপুরের বকশীগঞ্জে নিয়মনীতি না মেনে স্বর্ণের দোকানে অবাধে অ্যাসিড পুড়ানো হচ্ছে। এসব স্বর্ণের দোকানে অনুমতি ছাড়াই অবাধে ব্যবহৃত হচ্ছে নাইট্রিক ও সালফিউরিক অ্যাসিড। অ্যাসিড পোড়ানোর নীতিমালা থাকলেও তা মানছেন না কেউ। এর ফলে স্থানীয় লোকজনের শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানা যায়- স্বর্ণের গহনা তৈরির জন্য অ্যাসিড ব্যবহারের প্রয়োজন হয়। সোনা থেকে খাদ বের করার জন্য নাইট্রিক অ্যাসিড দিয়ে পোড়াতে হয়। আর গহনার সৌন্দর্য্য বাড়াতে ব্যবহার করা হয় সালফিউরিক অ্যাসিড। ব্যবহারের সময় এই অ্যাসিড বাতাসে মিশে বিষাক্ত জ¦লীয়বাষ্পে রূপ নেয় এবং তা শ্বাস-প্রশ্বাসের সাথে মানুষের শরীরে প্রবেশ করে। এতে শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, হৃদরোগসহ নানা জটিল রোগ দেখা দেয়। উপজেলার পৌর এলাকা ও বিভিন্ন বাজারে ঘুরে দেখা যায় অ্যাসিড পোড়ানোর জন্য আলাদা কক্ষ ও চিমনি ব্যবহার করার বিধান থাকলেও অধিকাংশ দোকানেই সেটি নেই। এসব স্বর্ণের দোকানের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কোনো অনুমতি নেই। পৌর এলাকাসহ পুরো উপজেলায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের প্রায় ৪০ টি সোনার দোকান। দোকানগুলোতে সোনা পোড়ানোর কাজে অবাধে অ্যাসিড ব্যবহৃত হলেও দেখার কেউ নেই। বকশীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী মিজানের অভিযোগ দোকানের পাশেই অ্যাসিড পোড়ানো হয়। ধোঁয়ার কারণে আমাদের শ্বাসকষ্ট হয়। অনেক গ্রাহক অ্যাসিড পুড়ানো গন্ধে শ্বাসকষ্টের ভয়ে দোকান থেকে চলে যায় তাতে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হয়।বকশীগঞ্জ পৌরসভার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক জানান, নাইট্রিক অ্যাসিডে নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড আছে যা মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সালফিউরিক অ্যাসিডেও প্রায় একই রকম ক্ষতি হয়। এর প্রভাবে মানুষের শ্বাসকষ্ট, চর্মরোগ ছাড়াও হার্টের সমস্যা হতে পারে। এসব বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, নীতিমালা মেনেই স্বর্ণকারদের ব্যবসা করতে হবে। নীতিমালা ভঙ্গ করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।