কুষ্টিয়ার ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের মানববন্ধন করেছে 'ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ইউট্যাব)। সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ সকল রাজবন্দিরমুক্তি, জাতীয় ও স্থানীয় বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার বন্ধ এবং অবাধ, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবিতে এ কর্মসূচি বলে জানা যায়। শনিবার (১১ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনে ইউট্যাব এর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ তোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু জাফর খানের সঞ্চালনায় এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ইউট্যাব এর কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. মোঃ এমতাজ হোসেন। এ ছাড়া অধ্যাপক ড. এ কে এম মতিনুর রহমান, বিজ্ঞান অনুসারে সাবেক ডিন অধ্যাপক ডঃ মোঃ নজিবুল হক, ধর্মতত্ত্ব অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুর রহমান আনোয়ারী, আইন অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. নুরুন্নাহার, জিয়া পরিষদ ইবি'র সভাপতি, অধ্যাপক ডঃ মোঃ রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদ, ইউট্যাব এর ভাইস- প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক মোহাম্মদ সেলিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড . মোঃ রশিদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবদুল গফুর গাজী অধ্যাপক ড. মোঃ মনজুরুল হক, অধ্যাপক ড. শরফরাজ নওয়াজ অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশেদুজ্জামান, অধ্যাপক ডঃ আবুল কাশেম তালুকদার, অধ্যাপক ড. মোঃ আইনুল হক, অধ্যাপক ড. হোসাইন আহমদ, অধ্যাপক ড. মুন্সি মুর্তুজা আলী, অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম. অধ্যাপক ড.খোদেজা খাতুন, অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুজ্জামান, অধ্যাপক ডঃ মোঃ সেলিম রেজা, প্রফেসর ড. মাকসুদা আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতির বক্তব্যে ইউট্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ড. তোজাম্মেল হোসেন বলেন, 'সারা বাংলাদেশ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জেগে উঠেছে। দিনের ভোট রাতে নিয়ে বিগত নির্বাচনের মতো নির্বাচন করার সুযোগ এবার আর হবে না। বিএনপির নেতৃত্বে চলছে সরকারের পতন ও নিরপেক্ষ নির্দলীয় দাবির আন্দোলন। এই আন্দোলন চলবে। ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন আর জনগণ মানবে না।' পরে এক বিবৃতিতে ইবি জিয়া পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রুহুল আমিন ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. আবদুস সামাদ জানান, 'নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন দমনে ইবি জিয়া পরিষদ, বর্তমান সরকারের আগ্রাসি-নীতি ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলীয় জাতীয় এবং স্থানীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। বিবৃতিতে আরো বলেন, 'দেশ ও জাতীর বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিরোধীদলীয় জাতীয় এবং স্থানীয় সকল রাজবন্দির অবিলম্বে মুক্তি, গণগ্রেপ্তার বন্ধ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।'