বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ফুলবাড়ি গমীর উদ্দিন বহুমুখী স্কুল এ- কলেজের প্রধান শিক্ষক লাল মুহম্মাদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্কুলের তথ্য পাচার, রেজিষ্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত ফি চাইতে অধিক ফি আদায় ও প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ হওয়ার সময় প্রকৃত তথ্য গোপন রাখা সহ স্কুলের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগে তাকে সাময়িক বরখাস্তের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক লাল মুহম্মাদ সহ মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক, আঞ্চলিক পরিচালক, বোর্ড চেয়্যারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, দুদক বগুড়ার উপ-পরিচালক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে চিঠি দিয়ে এই বহিষ্কার আদেশের কথা জানানো হয়েছে। সভাপতি মন্তেজার রহমান মন্তে বলেন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান হওয়ার যোগ্যতা তার নেই। স্কুল এ- কলেজের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে স্কুলের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বাহিরের লোকদের সরবরাহ করেছেন। তিনি নবম শ্রেণির ছাএ ছাএীদের কাছে বোর্ড নির্ধারিত ফির পর্রিবতে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছে কমিটির কাউকে না জানিয়ে। তাছাড়াও তিনি এবারের এস এস সি পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করেছেন। গভানিং বোডির সভাপতি মন্তেজার রহমান মন্তে সাংবাদিকদের জানান, তার শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশের যে কোন ১টিতে তৃতীয় বিভাগ থাকায় প্রধান শিক্ষকের পদে আসিন হওয়ার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন। কিন্তু এস এস সি পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগ থাকলেও বাদবাকি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকলেও সে প্রকৃত তথ্য গোপন করেন। তাকে নিয়ম মেনে পর পর ৩ বার গভর্ণিং বডির কর্মকর্তারা নোটিশ দিলেও তিনি তা আমুলে নেননি। অবশেষে তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তাদের গভর্নিং বডির এ সিদ্ধান্তের কথা পত্র মারফত জানিয়ে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক লাল মুহম্মাদ বলেন,অভিযোগ গুলো সম্পুর্ন মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। স্কুলের স্বার্থ বিরোধী কোন কাজে কখন ও লিপ্ত থাকিনি। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারোয়ার ইউসুফ জামাল জানান, আমি এ ধরনের অভিযোগের কথা শুনেছি তবে আমি কোনো কাগজ পএ পাইনি। তবে ভিলেজ পলিটিকসে এ ধরনের ঘটনা ঘটেই থাকে। প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কারের প্রকৃত ক্ষমতা বোর্ড কর্মকতার হাতে।