নীলফামারীর ডোমারে ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত একটি হরিসভা ও কালী মন্দিরে প্রায় ৮০ বছর পর পুজা অর্চনা শুরু হয়েছে। এর ফলে এলাকার ভক্ত ও পুজারীদের মধ্যে আনন্দ দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, জেলার ডোমার উপজেলার মৌজা পাঙ্গা গ্রামের লালার পাড়া এলাকায় জনৈক রাজেন্দ্র নারায়ন লালা ও যজ্ঞেশ্বরী কুমারী দেবী নামের দুজন পুজারী ১৯৩০ সালে হরিসভা মন্দির ও কালী মন্দির নামে একটি মন্দির প্রতিষ্ঠা করে পুজা অর্চনা শুরু করেন। যার রেজিঃ নং-১১৭১৯। এর কয়েক বছর পর ১৯৩৭ সালে ৩৩.৫১ একর জমি ওই মন্দিরের নামে দান করেন। ডোমার সাব রেজিষ্ট্রি অফিসে যার দলিল নং ৪১২, তারিখ ০১/০৩/১৯৩৭ইং। জমি দানের অব্যাহতি পরে ওই দুজনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। তাদের মৃত্যুর জমি ও মন্দির এলাকার কতিপয় ব্যাক্তির হাতে বেহাত হয়ে যায়। মন্দির ভেঙ্গে ফেলায় বন্ধ হয়ে যায় পুজা অর্চনা। এ ঘটনার প্রায় ৮০ বছর পরে গত ৪ বছর ধরে ওই দেবোত্তর সম্পত্তির এক কোনায় বাঁশের বেড়ায় নুতন মন্দির তৈরী করে পুজা অর্চনা শুরু করেন বর্তমার সেবক বুধাউ বর্মন। আজকের কালীপুজায় ওই মন্দিরে ঢল নামে পুজারীদের। তাদের দাবী বেহাত হয়ে যাওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি পুনুরুদ্ধারের। এ ব্যাপারে সেবক বুধাউ বর্মন জানান, বেহাত হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি সরকারের যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে সর্বাত্বক সহযোগীতা কামনা করেছেন।