বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে (পি বি জিএস আই) প্রকল্পের টাকা পেয়ে শিক্ষকরা খুশি হয়েছেন। পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ও গরীব মেধাবী শিক্ষার্থীরা ওই টাকায় উচ্ছ্বসিত ও রাজিব মিয়া নামে এক ছাএ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। জানাগেছে, এ উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে ১৮ টি উচ্চবিদ্যালয় ও দাখিল মাদ্রাসা পারফরমেন্স বেজড গ্রান্ডস ফর সেকেন্ডারী স্কিম (পিবিজিএস) প্রকল্পের আওতায় টাকা পেয়েছে। যমুনা নদী বিধ্বস্ত এই উপজেলার বিদ্যালয় গুলো ৫ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ পায়। এ টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের বিভিন খাতে খরচের কথা বলা হয়। খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, বরাদ্দ থেকে শিক্ষকরা টাকা পেয়ে সাংসারিক কাছে ব্যাবহার করে অনেক উকপকৃত হয়েছেন। মথুরাপাড়া বি কে উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, বরাদ্দকৃত টাকার এক অংশ থেকে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুম সমুহে সি সি ক্যামেরা স্হাপন করেছি। লাইব্রেরিও সংস্কার ও বিদ্যালয়ের ছাদে বাগান করেছি। নিজ বলাইল দাখিল মাদ্রাসার সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টাকা পেয়ে আমাদের মাদ্রাসা অনেক উপকৃত হয়েছে। ছাএ-ছাএীদের জন্য আলাদা টয়লেটের ব্যবস্হা করা হয়েছে, মাদ্রাসায় বাগান সহ লাইব্রেরীর ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। নদী ভাঙ্গনের শিকার হাটশেরপুর উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল করিম বলেন, ১৫ জন গরীব অসহায়, মেধাবী শিক্ষার্থী টাকায় কেডস, জামা কাপড়, স্কুল ড্রেস তৈরী করতে পেরে লেখাপড়ার প্রতি মনোনিবেশ করেছে। সদরের বাঁধ ঘেষা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মন্টু উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মুকুল চন্দ্র সুএধর বলেন, নির্দেশনা অনুযায়ী টাকার যথাযথ ব্যবহার তো করেছি, সব থেকে বড় কথা হলো রাজিব নামে ১০ম শ্রেণির এক ছাএ নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। ছাএ টি ৫ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করার সময় গাছ থেকে পড়ে বা পা ভেঙ্গে যায়। পরে সেখানে অপারেশনের মাধ্যমে মেডিকেল রড স্হাপন করা হয়। ৬ মাস পর রডটি বের করার কথা থাকলেও, দরিদ্র পরিবার না পেরে ছাএটির জীবন বিপন্ন হওয়ার পথে গিয়েছিল। বিদ্যালয়ের গভর্নিং বোডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ করে রডটি ফেলে দেওয়ার পর সে নতুন জীবন ফিরে পায়। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সারোয়ার ইউসুফ জামাল বলেন, নদী বিধ্বস্ত উপজেলায় শিক্ষা ব্যবস্হার মান উন্নয়নের জন্য এ রকম প্রকল্পের দরকার। প্রকল্পের টাকা পেয়ে শিক্ষার আরও উন্নত হবে আশা করি।