কুড়িগ্রাম তথা দেশের উত্তরাঞ্চলের স্বচ্ছ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও অন্যতম বক্তৃতাদানকারী ব্যক্তিত্ব, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা, ফুলবাড়ী উপজেলা সদর ইউপির সর্বজনপ্রিয় সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাদল পিত্ত্বথলীর পাথর অপরারেশন জনিত কারণে অসুস্থ হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাীন রয়েছেন। তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের অভিজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ মিজানুর রহমান ও জামাল উদ্দিন মিন্টুর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। গত বৃহস্পতিবার তার পিত্ত্বথলীর পাথর অপরারেশন সফল হয়। অপারেশনের সফল হলেও ওইদিন রাতে ইসমাইল হোসেন বাদলকে অক্সিজেন দেয়া হলেও তিনি শ^াসকষ্টে ভোগেন। তার অবস্থার বেগতিক হলে দ্রুত সময়ে অভিজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসিইউ-এ নেয়া হয়। এখানেই তাকে প্রায় ৩ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পর তার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। রোববার আইসিইউ থেকে এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হাসপাতালের কেবিনে স্থান্তর করা হয়। এখানে তিনি এখন চিকিৎসা নিচ্ছেন। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইসমাইল হোসেন বাদলের অসুস্থ্যতার কথা শুনে হাসপাতারে ছুটে এসেছেন ফুলবাড়ী উপজেলার কৃতী সন্তান পঙ্গু হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ডাক্তার হামিদুল হক খন্দকার, ডাক্তার বেলাল, রংপুরের জাসদ নেতা সাব্বির আহমেদসহ জাসদের নেতাকর্মীরা। চিকিৎসক ডাঃ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, নিবিড় পর্যক্ষেণে চিকিৎসা প্রদান করায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইসমাইল হোসেন বাদল এখন অনেকটা আশঙ্কামুক্ত। জাসদনেতা সাব্বির আহমেদ জানান, আমাদের সহকর্মী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইসমাইল হোসেন বাদল একজন ভালো ব্যক্তিত্ব হওয়ায় তার অসুস্থ্যতার বিগতিক অবস্থায় ভালোর প্রতিদান হিসেবে আল্লাহপাক তাকে বেঁচে রেখেছেন। তা না হলে আমরা তাকে ফিরে পেতামনা। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ইসমাইল হোসেন বাদল জানিয়েছেন, আমি এখন একটু করে হাটাচলা করতে পারছি। কথা বলতে পারছি। তবে হাসপাতাল থেকে কবে নাগাদ বাড়িতে আসবো তা বলা যাচ্ছেনা। এ সময় তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন। পাশাপাশি তার চিকিৎসায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসক ও তার অসুস্থ্যতার কথা শুনে যারা পাশে এসেছেন তাদের কাছে তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।