কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার হত্যার ঘটনায় স্বামী মাওলানা আবদুর রবকে মৃত্যু দন্ড দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। ২০১০ সালের ২৯ নভেম্বর স্ত্রীকে পানিতে চুবিয়ে হত্যার দায়ে নিজ গ্রামের মসজিদের ইমাম ও খতিব নিহত ঝর্ণার স্বামী উপজেলার বাম বাতাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রবকে মৃত্যুদন্ড ও একই সাথে ২০হাজার টাকা জরিমানা করে আদালত। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি আবদুর রব ওই গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে। কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় প্রদান করেন। মৃত্যুদন্ডাদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর প্রদিপ কুমার দত্ত। র্ঝণার হত্যাকারী স্বামীর মৃত্যুদন্ডাদেশের খবরে দেশের বিচার ব্যবস্থা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানান মামলার বাদী নিহত ঝর্ণার পিতা শামসুল হক ও তার পরিবার এবং আত্মীয় স্বজনরা।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের বাম বাতাবাড়িয়া গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে মাওলানা আবদুর রব ২০০১ সালে বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের কান্দাল গ্রামের শামছুল হকের মেয়ে ঝর্ণা আক্তারকে। ২০০৯ সাল পর্যন্ত কয়েক দফায় আবদুর রবের যৌতুকের দাবী মেটান ঝর্ণার পরিবার। আবদুর রব ঝর্ণা দম্পতির ২কন্যা ও ১ পুত্র রয়েছে। ২০১০ সালে আবদুর রব দ্বিতীয় বিয়ে করে, এনিয়ে পারিবারিক কলহ চরম আকার ধারণ করে। পারিবারিক কলহের জেরে একই বছরের নভেম্বর মাসের ২৯ তারিখ রাত ২টার দিকে স্ত্রী ঝর্ণা আক্তারকে শারীরিক নির্যাতনের পর পানিতে চুবিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় স্বামী। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূ ঝর্ণার পিতা শামছুল হক বাদী হয়ে স্বামী আবদুর রবের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার বাদী শামছুল হক বলেন, আমার মেয়েকে নির্মম ভাবে হত্যা করে সে পালিয়ে যায়। পরে আমি নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে তাকে পুলিশ আটক করে। আজকের এই রায়ে আমি কিছুটা হলেও শান্তি পেয়েছি। আমি আদালতের বিচারক ও সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আমি চাই অতি দ্রুত যেন এ পাষন্ডের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়।