বগুড়ার নন্দীগ্রামে মাচায় ঝুলছে সবুজ রঙের লাউ। আশ্চর্য্য হলেও সত্য উপজেলার ভাটগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় চাষি আবদুল গাফফার আলীর ক্ষেতে গেলেই চোখে পড়বে সারি সারি লাউ। আর মাচায় আলতোভাবে ঝুলে থাকা লাউয়ের সেসব দৃশ্য উঠে এসেছে ক্যামেরায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আবদুল গাফফার আলী নন্দীগ্রাম উপজেলার ভাটগ্রামের একজন আদর্শ কৃষক। তিনি নিজ গ্রামে ২৫ শতক জমিতে মিষ্টি লাউ চাষ করেছেন। কটসুতার (লায়লন সুতা) মাচার গাছগুলোতে মিষ্টি লাউ ধরেছে। যার প্রতিটির ওজন হবে এক থেকে পাঁচ কেজি। আগামী সপ্তাহে লাউ বাজারজাত করবেন চাষি আবদুল গাফফার আলী। বর্তমানে বাজারে মিষ্টি লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিষ্টি লাউয়ের গাছ ৫শ’ পঞ্চাশটি রয়েছে, প্রতিটি গাছে এক থেকে তিনটি করে লাউ ধরেছে। মাচায় বাঁশের খুঁটির সঙ্গে মোটা গুনাতার দিয়ে টানা দেওয়া আছে। আর মাচার ছাউনি কটসুতা (লায়লন সুতা) দিয়ে তৈরি।
চাষি আবদুল গাফফার আলী বলেন, গত সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে যোগাযোগ করে বগুড়া জেলা শাখা সাবগ্রাম ইস্ট ওয়েস্ট কোম্পানির বীজ র্ফাম থেকে পরীক্ষা মূলক ৫৫০ পিচ বাটারনাট ও স্পটেট জাতের মিষ্টি লাউ বীজ সংগ্রহ করেন। এরপর ২৫ শতক জমিতে সারি সারি ভাবে বীজ রোপন করে। এপর্যন্ত মিষ্টি লাউ চাষে তার ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। তবে তিনি এক লাখ থেকে দেড় লাখ টাকার মিষ্টি লাউ বিক্রি করবেন এমনই আশা প্রকাশ করেন চাষি আবদুল গাফফার আলী।
এবিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি অফিসার মো. গাজিউল হক জানান, এই উপজেলায় ১৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি লাউ চাষ হয়েছে। মিষ্টি লাউ লাভজনক একটি ফসল। অন্যান্য ফসলের চেয়ে খরচ কম হওয়ায় এই উপজেলার অনেকে কৃষকই ঝুঁকছেন এই মিষ্টি লাউ চাষে। এর আগেও আবদুল গাফফার তরমুজ চাষ করে লাভবান হয়েছেন।