বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার পল্লী থেকে রিক্তা খাতুন (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশ্মি দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত গৃহ বধু ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়নের নতুন ধাওড়া গ্রামের সাগর মোল্লার স্ত্রী। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে ২০১৮ সালে ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা উপজেলার হাটফাজিলপুর গ্রামের রুস্তম আলী মোল্লার মেয়ে রিক্তা খাতুনের সাথে একই উপজেলার নতুন ধাওড়া গ্রামের মতিন মোল্লার ছেলে সাগর মোল্লার বিয়ে হয়।বিয়ের পর থেকেই রিক্তার স্বামী সাগর মোল্লা যৌতুকের দাবিতে তার উপর শারীরিক ভাবে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করত। তাছাড়াও সম্প্রতি সাগর মোল্লা কুষ্টিয়া জেলার রোজিনা খাতুন নামের একটি মেয়ে কে গোপনে বিয়ে করে। পরে সেটা পরিবারের সদস্যরা জানতে পারলে রোজিনা কে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ডির্ভোস দেয়। কয়েক মাস পরে আবার তাকে বিবাহ করে। সেই ঘটনা নিয়ে স্ত্রী রিক্তার বিভিন্ন ভাব নির্যাতন করত থাকে। সোমবার দুপুরে সাগর মোল্লা তার স্ত্রী রিক্তা কে ব্যাপক ভাবে মারধর করে এবং গলায় কাপুড় পেঁচিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে নিহত রিক্তার ফুফাত ভাই সোহাগ লস্কার জানান আমার বোনের বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী সাগর মোল্লা যৌতুকের দাবিতে তাকে বিভিন্ন সময় মারধরসহ শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। আমরা অনেক বার এটা নিয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়েছি। আজ সকালে ( বুধবার) খবর পেলাম যে রিক্তা আত্মহত্যা করেছে। আসলে রিক্তাকে তার স্বামী রাতে হত্যা করে পাশে একটা ঘরের আড়ার সাথে রশ্মি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখে সে আত্মহত্যা করেছে বলে এলাকায় প্রচার করেছে। এ ব্যাপারে নিহত রিক্তার স্বামী সাগর মোল্লার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে রাতে স্বামী স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে এক সাথে বিছানায় শুয়ে ছিলাম ভোর সকালে জেগে দেখি সে বিছানায় নেই। পরে অনেক খোঁজা খুঁজির পর পাশের একটি ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশ্মি দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করি।এব্যাপারে মালিথিয়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই হামিদুল ইসলাম জানান আমি উভয়ের বক্তব্য শুনেছি। লাশময়না তদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে বুঝা যাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি সে নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানায় একটা অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।