প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা থেকে বাড়ী ফেরার পথে দাকোপে নদীতে পড়ে নিখোজের ৩৩ ঘন্টা পর দেবদাসের লাশ উদ্ধার। উপজেলা আওয়ামী লীগ ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ সমবেদনা জানাতে মৃতঃ দেবদাসের বাড়ীতে উপস্থিত হয়ে সরকারী চাকুরীসহ সর্বাতœক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। এ ছাড়া অপর ২ নেতা আহত।
গত ১৩ নভেম্বর সোমবার খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় দাকোপ থেকে ৬টি লঞ্চ যোগে ২০/২২ হাজার নেতাকর্মি যোগ দেয়। কর্মসূচি শেষে উপজেলার সুতারখালী ইউনিয়নের লঞ্চ রাতে নেতাকর্মিদের নিয়ে নলিয়ান পল্টুনে ভিড়ে। এ সময় লঞ্চ থেকে নামতে গিয়ে ৬ নং ওয়ার্ড যুবমহিলা লীগ নেত্রী কল্পনা রানীর স্বামী আওয়ামী লীগ কর্মী দেবদাস মন্ডল (৪৮) অসাবধনতা বশত পল্টনে বাড়ী খেয়ে শিপসা নদীতে পড়ে যায়। ঘটনার পর পরই প্রথমে স্থানীয় ভাবে এবং পরবর্তীতে ডুবুরীর সহায়তায় অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দীর্ঘ ৩৩ ঘন্টা পর বুধবার ভোরে স্থানীয় কোষ্টগার্ড অফিসের সামনে নদীতে দেবদাসের মরদেহ পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সহায়তায় ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী দাহ করা হয়। ২ সন্তানের জনক দেবদাস পেশায় একজন ক্ষুদ্র চা বিক্রেতা ছিলেন। এ দিকে দূর্ঘটনার পর থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সম্পাদকসহ সাবেক ও বর্তমান জনপ্রতিনিধিরা সমবেদনা জানাতে শোকাহত দেবদাসের বাড়ীতে যায়। সুতারখালী ইউনিয়ন আ.লীগ সম্পাদক জুলফিক্কার গাজী জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক দেবদাসের পরিবারকে নগত অর্থ ও পানির ট্যাংক দেওয়া হয়। এ ছাড়া সরকারীভাবে ঘর নির্মান করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এ ছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ¦ শেখ আবুল হোসেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি এবং কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফের সাথে দেবদাসের স্ত্রীর কথা বলিয়ে দেন। এ সময় শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি তাকে যোগ্যতম সরকারী চাকুরী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ছাড়া জনসভা থেকে ফিরে চালনা বাজার লঞ্চ ঘাটে নামার সময় উপজেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি নির্মল সরদার এবং কর্মী আঃ গনি গাজী মারাতœক আহত হয়। নির্মল সরদারের বুকে আঘাত লাগে এবং গনি গাজী পায়ে জখম হওয়ায় ৬ টি সেলাই দিতে হয়।