বগুড়ার শেরপুর পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশে ১৫ নভেম্বর বুধবার বেলা সোয়া ১১ টায় বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সরকারি কাজে বাধাদান, ক্ষতিসাধন, হুমকি ধামকী, গুরুতর ও সাধারণ জখম করায় পুলিশ বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, উপজেলা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাবলু, সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে আসিফ ইকবাল সানভি সহ ৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় ভোর রাতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতা জাহিদুল ইসলাম (৩৫) কে আটক করা হয়েছে।
জানা যায়, বিএনপির ডাকা পঞ্চম দফার অবরোধ সফল করতে ১৫ নভেম্বর বুধবার বেলা ১১ টার দিকে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজের নের্তৃত্বে একটি মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে তারা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং সরকারি কাজে বাধাদান, মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন, হুমকি ধামকি, গুরুতর ও সাধারণ জখম করে। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন আলী বাদি হয়ে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মাদ সিরাজ, উপজেলা এিনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম বাবলু, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম মিন্টু, সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে আসিফ ইকবাল সানভি সহ ৬৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে ওইদিন ভোররাতে শাহবন্দেগী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য জাহিদুল ইসলাম কে আটক করা হয়।
এবিষয়ে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বাবু কুমার সাহা বলেন, গত বুধবার শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার পাশে অবরোধ চলাকালীন সময় বিএনপির হামলায় আমি, শেরপুর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক হোসেন আলী সহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। পরে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই থানায় মামলা দায়ের করে বিএনপির নেতা জাহিদুল ইসলাম কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।