৬.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে দক্ষিণ ফিলিপাইন। গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ১৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি অনুভুত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া না গেলেও পরে ছয় জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে ভুমিকম্প পরবর্তী কোনো সুনামি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট মার্কোস ফার্দিনান্দ জুনিয়র ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো নির্দেশ দিয়েছেন।
স্থানীয় দুর্যোগ কর্মকর্তারা আজ শনিবার জানিয়েছেন, ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এ ছাড়া আরো দুই ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন।ভূমিকম্পটির গভীরতা ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬০ কিলোমিটার গভীরে ছিল বলে জানায় জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল মধ্যাঞ্চলীয় বুরিয়াস শহরের ২৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং ভূপৃষ্ঠের ৭৮ কিলোমিটার গভীরে।
দেশটির দক্ষিণ কোটাবাটো প্রদেশে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে দুর্যোগ অফিসের প্রধান আগ্রিপিনো দাসেরা। ভূমিকম্পে একটি শপিং মলের ছাঁদ ধসে স্বামী-স্ত্রী এবং অন্য একজন নারী নিহত হন বলে তিনি জানিয়েছেন।
উপকূলীয় শহর গ্লানের দুর্যোগ কর্মকর্তা অ্যাঞ্জেল ডুগাডুগা রয়টার্সকে বলেছেন, সারাঙ্গানি প্রদেশে কমপক্ষে দুইজন নিহত হয়েছেন এবং উদ্ধারকারীরা ভূমিধসের পরে নিখোঁজ আরো দুজনের সন্ধান করছে। এদিকে দাভাও অঞ্চলের সিভিল ডিফেন্স অফিসার ফ্রাঞ্জ ইরাগ জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে ৭৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। বেশিরভাগ রাস্তা অক্ষত রয়েছে বলে দেশটির দুর্যোগ কর্মকর্তারা বলেছেন। এ ছাড়া বেশিরভাগ বাড়ি এবং ভবনের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।ফিলিপাইনে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে। কারণ ফিলিপাইন প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কথিত ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত।
সূত্র: এপি, রয়টার্স