গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের জিগাবাড়িতে তিস্তানদীতে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা সাদৃশ্য পিতলের বোতল বিস্ফোরণে একই পরিবারের চারজন গুরুত্বর আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সন্ধ্যায় বেলকা ইউনিয়নের জিগাবাড়ী চরের ভুট্টু মিয়ার বাড়ীতে।
জানাযায়, গত শনিবার সকালে আবদুল হাকিম মিয়া ভুট্টু ও তার দুই ছেলে ফারুক মিয়া (২০) ও রিপন মিয়া (১৭) তিস্তা নদীর জিগাবাড়ির চরে ভূট্টার বীজ লাগাতে যায়। বিকালে বাড়ি ফেরার পথে তিস্তা নদীতে বোমা সাদৃশ্য পিতলের বোতল আকৃতির একটি বস্তু ভাসতে দেখে। তারা বোতলটি কুড়িয়ে নিয়ে বাড়িতে ফেরেন। ওই দিন সন্ধ্যায় হাকিম মিয়া ও তার দুই ছেলে এবং স্ত্রী পারভীন বেগম মিলে বোমা সাদৃশ্য বস্তুটির মধ্যে গুপ্তধন আছে ভেবে ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এক পর্যায় দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে বোতলটিতে আঘাত করলে তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। এতে ৪ জন গুরুত্বর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। তাদের সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এদের মধ্যে আব্দুুল হাকিম মিয়ার (৪২) এর দুটি পা তার সন্তান ফারুক মিয়ার দুটি হাতের কবজি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এবং রিপনের একটি চোখ ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও স্ত্রীর হাত পায়ের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান মজি জানান, তিস্তা নদীতে কুড়িয়ে পাওয়া বোমা সাদৃশ্য বোতল আকৃতির বস্তু বিস্ফোরণে হাকিমসহ তার পরিবারের ৪জন আহত হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার সূর্বণা ইসলাম বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিসা দেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন বস্তুটি গুপ্তধন ভাবছিল আহতরা। বোতলটি দা দিয়ে কাটার সময় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটে। তবে বিস্ফোরক জাতীয় বোতলটি সম্প্রতি সিকিম থেকে ভয়াবহ বন্যায় ভেসে আসে বলে ধারনা করা হচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছুই নেই।