লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে বিএনপির নৈরাজ্য ঠেকাতে মাঠের নেতা অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের বিকল্প নেই। সংগঠন গোছাতে এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান দলীয় মনোনয়ন পাবেন এমনটাই প্রত্যাশা দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটারদের। লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় মাঠ পর্যায়ে সাংগঠনিক ভাবে আওয়ামিলীগ অনেকটাই দুর্বল হয়ে পড়েছে। ২০০১ সাল থেকে বিগত ২৩ বছরে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তির প্রভাবের কারণে দলের ৪ জন নেতা কর্মী হত্যার স্বীকার হয়।বিএনপির প্রভাবশালী নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নির্বাচনী এলাকা লালমনিরহাট সদর-৩ আসনটি বরাবরই ভোটের মাঠ দখলে ছিল বিএনপির। বিএনপির সাংগঠনিক প্রভাবের কাছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক ভাবে কখনো পেরে উঠেনি। কারণ হিসেবে নেতাকর্মীরা বলেন দলীয় সংসদ সদস্য না থাকায় তৃনমুল পর্যায়ের নেতা কর্মীরা থেকেছে অবহেলিত। এ কারণে ধীরে ধীরে সংগঠনটি দুর্বল হয়ে পড়েছে।এই কারনটি চিহ্নিত করে দলের নেতাকর্মীরা এবার সংসদ নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলীয় প্রার্থী মাঠের নেতা অ্যাড. মতিয়ার রহমানকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায়। এ কারণে সোমবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে নৌকার মাঝির দায়িত্ব দিতে অ্যাড. মতিয়ারের সমর্থনে লক্ষাধিক জনগন মাঠে নেমে জননেত্রী শেখ হাসিনার নিকট আবেদন জানায়। এদিন দুপুর থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সাধারন ভোটাররা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জড়ো হয়ে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে অ্যাড. মতিয়ারের সমর্থনে বিশাল একটি গণমিছিল বাহির করে। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলার প্রাণকেন্দ্র মিশনমোড়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে দলীয় নেতাকর্মীরা সংক্ষিপ্ত এক সমাবেশে মাঠের নেতা অ্যাড. মতিয়ার রহমানকে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত করার দাবি জানান। জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের মনোনয়ন পত্র নিশ্চিত করতে জাতীয় শ্রমিক লীগ, আওয়ামী যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ সাংগঠনিক চিঠি কেন্দ্রে প্রেরন করার কথা জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে লালমনিরহাট সদর-৩ আসনে লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃমতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব গোলাম মোস্তফা স্বপন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নজরুল হক পাটোয়ারী ভোলা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংরক্ষিত আসনের নারী সংসদ সদস্য অ্যাডঃ সফুরা বেগম রুমি দলীয় মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন। বরাবরের মতো এবারে জোটগত ভাবে জাতীয় পার্টিকে এই আসনটি ছেড়ে না দিলে, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডঃ মতিয়ার রহমান অথবা সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডঃ সফুরা বেগম রুমি এবার মনোনয়ন পেতে পারেন বলে জোড় গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জেলা যুবলীগের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবীর জানান, যে মানুষটির দিন শুরু হয় দলীয় নেতাকর্মীদের সমস্যা সমাধান করতে আর রাতে ঘুমাতে যান নেতাকর্মীদের কথা চিন্তা করে সেই মানুষটিকে আমরা এই আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে পেতে চাই। আমাদের এই মাঠের নেতা দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে দলকে সুসংগঠিত করার কাজটি সুনিপুন ভাবে করে যাচ্ছেন। আমাদের অভিভাবক অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবী ও প্রত্যাশায় ইতোমধ্যে কেন্দ্রে আমাদের মতামত জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন বলেন,সারা দেশের রাজনৈতিক মাঠের চিত্র একরকম হলেও লালমনিরহাট সদর আসনটি একটু ব্যাতিক্রম।লালমনিরহাট সদর আসনটি বিএনপির হেভিয়েট নেতা অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুর নিজ নির্বাচনী এলাকা হবার সুবাদে এখানে দলীয় নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।কারন এই আসনে আসাদুল হাবিব দুলু অনেক জনপ্রিয় এবং সাংগঠনিক ভাবে দক্ষ একজন রাজনিতীবীদ। তাকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবেলা করতে নেতা কর্মীদের অনেক বেশী চাপ নিতে হয়। দলীয় নেতা কর্মীদের সেই চাপ মাথায় নিয়ে আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক অ্যাড. মতিয়ার ভাই সংগঠন গুছিয়েছেন। তার শ্রমের ঘাম, অর্থ, মূল্যবান সময়ের বিনিময়ে তিনি এখানে সংগঠনটি শক্তিশালী হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। তাই তাকে রাজনৈতিক ভাবে মূল্যায়ন করা না হলে এই আসনে সংগঠনটি মারাত্মক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে। মতিয়ার রহমান মনোনয়ন পেলে নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে যতটা সহজ হবে অন্য কাউকে দিয়ে সেটি অত সহজ হবে না। দলের ঐক্যের স্বার্থে আমরা অ্যাডঃ মতিয়ার রহমানের মনোনয়ন চেয়েছি। আমাদের আস্থার প্রতীক দলীয় সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের স্বার্থে যার হাতে নৌকার বৈঠা তুলে দিবেন দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে আমরা তার পক্ষে নৌকার কাজ করবো।