ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা বিএনপিতে এবার চুড়ান্ত ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। দলটির ৩বারের এমপি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বিএনপি নেতা আবদুল ওহাব যোগ দিচ্ছেন নতুন দল বিএনএম(বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন)এ। একই সাথে ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসনে সংসদ সদস্য পদে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন বলে কর্মীরা বলছেন। এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি নেতা আবদুল ওহাব জানান, খুব শীঘ্রই ৫শতাধিক নেতা-কর্মীর উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে তার অবস্থান পরিষ্কার করবেন। প্রসঙ্গত সোমবার বিকালে ঢাকায় নতুন গঠিত বাংলাদেশ জাতয়িতাবাদী আন্দোলন’র(বিএনএম) সংবাদ সম্মেলনে সামনের সারিতে অতিথি হিসাবে দেখা গেল এবং তাকে নতুন দলটিতে পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়। জানা গেছে আবদুল ওহাব ঝিনাইদহ-১ শৈলকুপা আসন থেকে ১৯৯১,১৯৯৬ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩বার এমনপি নির্বাচিত হন। এক সময়কার বিএনপির ঘাঁটি হিসাবে পরিচিত এই আসনে তিনি বিএনপি কে তৃণমুলে সংগঠিত করে এসেছেন। বারবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। দিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির নেতৃত্বও, হয়েছেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। বর্তমানে কেন্দ্র বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হিসাবে রয়েছেন। তবে ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে তিনি দলের মনোনয়ন পাননি। শৈলকুপা সহ ঝিনাইদহ জেলা বিএনপিতে নতুন কমিটিতেও তাকে কোণঠাসা অবস্থায় দেখা যায়, যা তার সমর্থক নেতা-কর্মীরা মানতে পারছেন না বলে কর্মীরা বলে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে কমিটি গঠন নিয়ে দফায় দফায় ভাঙ্গন দেখা দেয়। তৃণমুল নেতাকর্মীরা দলের বিভিন্ন কমিটিতে অযোগ্য লোকদের নেতৃত্বে বসানো হয়েছে দাবি করে বিভিন্ন কমিটি থেকে নিজেদের নিষ্ক্রিয় করে রাখেন। সাবেক এমপি আবদুল ওহাব সহ দলটির অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন, যারা দীর্ঘ বছর দলটিতে ভ’মিকা রাখতে পারেননি বলে জানিয়ে আসছেন। গত কয়েক বছর ধরে এমন অবস্থা চলে আসছে। এমনকি দলের চলমান আন্দোলনে কেন্দ্র ঘোষিত কোন কর্মসূচি শৈলকুপায় পালিত হয় না বলে জানান তৃণমুলের নেতা-কর্মীরা। এমন পরিস্থিতে তৃণমূল বিএনপির স্তম্ভ হিসাবে পরিচিত সাবেক এমপির দলত্যাগ নতুন মাত্রা যোগ করতে যাচ্ছে বলে মনে করছে নেতারা। এখানে দলটির হাজার হাজার নেতা-কর্মী যোগ দিতে পারে সাবেক এই নেতার সাথে। এদিকে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপিতে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে কিনা এ বিষয়ে শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে, সাংবাদিক পরিচয় জানার সাথে সাথে তিনি ফোন কেটে দেন এবং মন্তব্য করতে রাজি হননি।