রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সংবাদ সংগ্রহকালে মো. নাহিদ হাসান (সাব্বির) নামে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ধানমন্ডি মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক। তিনি একটি অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক। গত রোববার রাত ১০টার দিকে ধানমন্ডি কেয়ারী প্লাজা সংলগ্ন নর্দান মেডিকেল কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত ১০টায় হঠাৎ ধানমন্ডি নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রাকিবুল ইসলাম এবং ধানমন্ডি থানার ১৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের উপণ্ডপ্রচার সম্পাদক তামজিদ রহমানের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন সাংবাদিকের ওপর হামলা করে। অভিযুক্তরা প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ এগিয়ে আসেননি। হামলায় আহত সাংবাদিক নাহিদ হাসান বলেন, সংবাদ সংগ্রহের কাজে আমি রাত সাড়ে ৯টায় ধানমন্ডি কেয়ারী প্লাজার সামনে যাই। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলামকে ফোন দিলে তিনি আমার অবস্থান জানতে চান। আমি নর্দান মেডিকেলের সামনে আছি বললে তিনি আমাকে ৫ মিনিটের মধ্যে আসছেন বলে জানান। এরপর রাকিবুল হেঁটে আসেন এবং যুবলীগ নেতা তামজিদের নেতৃত্বে ১০-১৫টি মোটরসাইকেলে ২০-২৫ জন এসে বলে, এখানে সাংবাদিক কে? জিজ্ঞেস করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে পরিচয়পত্র দেখাতে চাইলে আরও বেশি মারধর করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে কোনোভাবে বেঁচে ফিরে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিই। আহত সাংবাদিক নাহিদকে দেখতে এসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, হামলাকারীরা অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত হবে। ছাত্রলীগের যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি ওই সাংবাদিক ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাই। এর মধ্যে স্থানীয় লোকজন এসে তার ওপর হামলা করে। কেন হামলা করেছে জানি না। আমি সাংবাদিক ভাইকে সেভ করার চেষ্টা করেছি। এ বিষয়ে গত সোমবার সকালে ধানমন্ডি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ পারভেজ ইসলাম বলেন, এমন কিছু ঘটেছে এবং কখন ঘটেছে তা আমি জানি না। রাতেই থানায় অভিযোগ করা হয়েছে জানালে তিনি বলেন, আমি যেহেতু এখনও কিছু জানি না, পরে আপনাকে জানাতে পারবো।