স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধা সনদ পায়নি জামালপুরের আবদুল মোতালেব। তিনিএকজন অসহায় দরিদ্র ও অসুস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধা। আবেদন করার পরও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম না উঠায় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। বর্তমান সরকারের আমলে তিনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে শুরু করে সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানাযায়, জামালপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম খোকা এবং তাঁর ডিপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকিরসহ অসংখ্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে চিনতেন এবং জানতেন। মুক্তিযোদ্ধারা জানান, জামালপুরের আবদুল মোতালেব আমাদের সাথে ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে ১১ নম্বর সেক্টরে সক্রিয়ভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে বিশেষ অবদান রাখেছেন।
তাই ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক কর্নেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী স্বাক্ষরিত তৎকালীন স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র প্রাপ্ত হন। তাই তার নাম অন্তঃর্ভুক্তির করতে গত ২০১৪ সালে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ওয়েব সাইটে তিনি একটি দরখাস্ত করেন। কিন্তু বাছাই কমিটি অজ্ঞাত কারণে তার নাম বাদ দেয়া হয়। পরবর্তি ২০১৭ সালে তিনি আবারও আপিল করে সনদ দেয়ার আকুল আবেদন জানান।
বর্তমানে তার বয়স ৮৬ বৎসর, স্ত্রী সুলেখাকে নিয়ে জামালপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মনিরাজপুর এলাকায় অতি কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই তিনি মুক্তিযোদ্ধা সনদ প্রাপ্তির জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলে অনুরোধ জানান।