গত ৪৮ দিন ধরে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় লাগাতার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আজ বুধবার পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনো গাজায় হামলার রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। গাজার উত্তরাঞ্চলের কামাল আদওয়ান হাসপাতালের কাছে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলায় অন্তত ৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, জাবালিয়া ক্যাম্পের আল- ফলৌজ এলাকায় হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে। তবে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চারদিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি হয়েছে। ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে বুধবার বলা হয়েছে, শিশু ও নারীসহ ৫০ জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে চার দিনের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে দেওয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির সরকার সব জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। তাতে আরও বলা হয়েছে, সরকার লক্ষ্য অর্জনের একটি রূপরেখা অনুমোদন করেছে এবং সেই অনুযায়ী নারী ও শিশুদের সমন্বয়ে আগামী চারদিনে মুক্তি পাবে অন্তত ৫০ জিম্মি। এ সময় যুদ্ধে বিরতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি ইসরায়েল সরকার বলেছে, এর বাইরে অতিরিক্ত প্রতি ১০ জিম্মির মুক্তির জন্য একদিন করে যুদ্ধবিরতি থাকবে। এতে আরও বলা হয়, ইসরায়েল সরকার, আইডিএফ (ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী) ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো সব জিম্মিকে মুক্ত করতে, হামাস নির্মূলে এবং গাজা থেকে ইসরায়েলের প্রতি নতুন কোনো হুমকি আসবে না- এমনটা নিশ্চিতে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। ইসরায়েলের পর ওই চুক্তির বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে হামাস। সেখানে তারা বলেছে, ৫০ জিম্মিকে ছেড়ে দেওয়ার বিনিময়ে ইসরায়েলি কারাগারে আটক দেড় শ’ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশু মুক্তি পাবে। গত ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েল অভিমুখে হাজার হাজার রকেট ছুড়ে হামাস। তাদের দাবি, মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যে তারা ইসরায়েলে পাঁচ হাজার রকেট ছুড়েছে। সেইসঙ্গে ইসরায়েল সীমান্ত ভেদ করে দেশটিতে তা-ব চালায় হামাসের যোদ্ধারা। এতে ইসরায়েলে নিহত হয়েছে অন্তত ১২০০। আহত তিনহাজারের বেশি। সেইসঙ্গে ২৫০ জনকে জিম্মি করে হামাসের যোদ্ধারা।