গৌতম আদানি গোষ্ঠীর হাত ছাড়া হয়ে গেছে তাজপুরের গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ। এ বিষয়ে নতুন করে দরপত্র ঘোষণা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে যোগ দিয়ে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য নতুন করে টেন্ডার জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা দেন তিনি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এজন্য আদানি গোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দিয়েছিল মমতা সরকার। সে সময় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে কলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ পেয়েছে আদানি গোষ্ঠী। ওই সমুদ্র বন্দর নির্মাণে ২৫ হাজার কোটি রুপি ব্যয় হবে বলে জানানো হয়। ২০২৫ সালের মধ্যেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে গত এক বছরে বন্দর নির্মাণের কাজ একটুও এগোয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে চললে ২০২৫ সালের মধ্যে এই সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলা অসম্ভব। ফলে গত মঙ্গলবার বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের ক্ষেত্রে নতুন করে দরপত্র জমা দেওয়ার কথা ঘোষণা দিলেন। কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের উপস্থিত শিল্পপতিদের তাজপুর বন্দর নির্মাণের প্রকল্পে দরপত্র দেওয়ার আহ্বান জানান মমতা। ওই সম্মেলন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গ ভারতের অর্থনৈতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া রাজ্য। আমাদের তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করা হবে। আপনারা এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। এতে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ আসবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত গৌতম আদানি গোষ্ঠী। তাদের বিরুদ্ধে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদ সদস্য মহুয়া মৈত্র সংসদে বারবার সরব হয়েছেন। তবে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে যে, তিনি শিল্পপতি দর্শন হীরানান্দানীর কাছ থেকে উপহার নিয়ে সংসদে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছেন। এদিকে বিশ্ববঙ্গ বানিজ্য সম্মেলনে মমতা ব্যানার্জীর এই ঘোষণার পর কার্যত তিনি মহুয়া মৈত্রর পাশে দাঁড়ালেন বলেই মনে হচ্ছে।