বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ফুলবাড়ী দক্ষিণ পাড়া বালুচর এলাকায় বিয়ের ৩'মাস পর স্ব-ইচ্ছায় সাক্ষরিত কাবিন নামা অস্বীকার করছেন রানা নামের এক যুবক। বর্তমানে এনিয়ে দেখা দিয়েছে দুপক্ষের মধ্যে মনমালিনতা, অশান্তি। ফলে দুটি পরিবার সহ এলাকার শ-শ মানুষের মাঝে অশান্তি ও ঘুম হারাম হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই গ্রামের শাহজাহান আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম রানা(২৫)। বিয়ে করেন, একই গ্রামের আবদুস ছামাদ এর মেয়ে শাকিলা আক্তার(২৩) কে। শাকিলা আক্তার সরকারি আজিজুল হক কলেজের রাষ্ট্র বিঙ্গান বিভাগের মাষ্টাটার্সের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। গত ৩'মাস আগে নিকাহনামা ও কোর্ট এভিডেভিড এর মাধ্যমে বিয়ে হয়। নিকাহনামা ও এভিডেভিডে ৮'লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য্য করা হয়। উভয়ের স্ব-ইচ্ছায় কাবিন নামায় সাক্ষর করলেও স্বামী নাজমুল ইসলাম রানা এখন তা অশিকার করছেন। এবং রানা বিভিন্ন জায়গায় প্রভাব খাটিয়ে নিকাহনামা ভাঙ্গার চেষ্টা করছেন। এনিয়ে নবদম্পতি সহ স্থানীয়দের মাঝে অশান্তি দেখা দিয়েছে। স্থানীয় আবদুল মতিন বলেন, তারা নিকাহনামা ও এভিডেভিড করছেন বগুড়া এবং গাজীপুরে। এখন রানা কি ভাবে অস্বীকার করছেন তা আমাদের কাছে বোধগম্য না। তাদের মধ্যে যাই হোক কিন্তু আমাদের সমাজে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে নাজমুল ইসলাম রানা বলেন, আমি গরীব মানুষ কাবিনের ৮'লক্ষ টাকা আমি কোথায় থেকে দিবো। আগে বুঝতে পারিনি এখন তা বুঝতেছি। এ বিষয়ে শাকিলা আক্তার বলেন, আমার স্বামী ভালো মানুষ তা জানি। সে বর্তমানে পরিবারের অন্যান্যের চাপে যৌতুক দাবি ও আমাকে শারীরিক এবং মানসিক ভাবে নির্যাতন করছেন। ঘরে না তোলা পর্যন্ত স্বামীর ঘরের বারান্দায় মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত আছি। গত ২১শে নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত অনশন অব্যহত রেখেছি। সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।