মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁদপুর-২ আসনে এবার নৌকা চাইছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া এবং তার জৈষ্ঠ পুত্র সাজেদুল হোসেন চৌধুরী দীপুসহ মোট ১২ আওয়ামী লীগ নেতা। তবে এই আসন থেকে আলোচনায় থাকা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তে এখনো মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেননি। ২২ নভেম্বর বুধবার রাতে এই আসনটি হতে রাজধানীর দলটির দলীয় কেন্দ্রীয় কার্যালয় হতে এখন পর্যন্ত ১২ জন মনোনয়ন ফরম উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ. কুদ্দুস। তিনি নিজেও দলীয় প্রতীক পেতে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করে জমা দিয়েছেন। মতলব দক্ষিণের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বলেন, যারা এই আসনে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন তাদের মধ্যে মতলব দক্ষিণের থেকে আলোচনায় রয়েছেন জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমীর সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ লোকমান হোসেন। এ ছাড়া বেশির ভাগ মনোনয়ন প্রত্যাশীই হচ্ছেন মতলব উত্তরের বাসিন্দা। এখন নেত্রীর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি সবাই। মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান, আমাদের এখানে মায়া ভাই ও তার পুত্র দীপু ছাড়াও হেভিওয়েট প্রার্থী রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাড. নুরুল আমিন রুহুল। এছাড়াও এখান থেকে মনোনয়নের দৌড়ে রয়েছেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনজুর আহমেদ মঞ্জু, মতলব উত্তর উপজেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ কুদ্দুস, কেন্দ্রীয় যুবলীগের মহিলা সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য জাঁকিয়া সুলতানা শেফালী, বাংলাদেশ কৃষক লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম খোকা পাটোয়ারী, মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম ইসফাক আহসান, রেল শ্রমিকলীগের সভাপতি অ্যাড. হুমায়ুন কবির, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সহসভাপতি অ্যাড. জেসমিন সুলতানা। এ বিষয়ে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ কুদ্দুস বলেন, মনোনয়ন অনেকেই কিনেছে এবং আমিও কিনেছি। দীর্ঘ সময় দলের প্রয়োজনে মাঠে আওয়ামীলীগকে সুসংগঠিত রেখে চলেছি। তবুও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা মনোনয়নের বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দেবেন তা মেনেই নৌকার বিজয় নিশ্চিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো।