খুলনার পাইকগাছায় বেআইনী ভাবে মডেল মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জেন, খাদেম নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ পরীক্ষার দিনধার্য করায় ক্ষতিগ্রস্ত হাফেজ মাওলানা মো. শামসুদ্দীনের আদালতে মামলা করেছেন। মসজিদের সভাপতিকে কেন নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে না, তদমর্মে ৭ দিনের শোকজ দিয়েছেন আদালত। জানা যায়, পাইকগাছা উপজেলা কোর্ট স্থাপনের সাথে সাথে ১৯৮৪ সালে কোর্টে পার্শে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠা হয়। কোর্ট সংশ্লিষ্ট বিচারক, আইনজীবী, মোহরী এবং আগত লোকজন সহ স্থানীয় ধর্মপ্রাণ শুধীজনের আর্থিক সাহায্যে মসজিদটি দোতলা হয়। সেখানে মুসলিরা ৫ ওয়াক্ত নামাজ, জুম্মার নামাজ সহ তারাবি নামাজ পড়েন। ২০১৩ সালে মসজিদের ইমাম অন্যত্র গেলে মামলার বাদী হাফেজ মো. সামসুদ্দীনকে ১ নভেম্বর ২০১৪ রেজুলেশনের মাধ্যমে ইমাম হিসেবে নিয়োগ দেন। অদ্যাবধি অতি অল্প বেতন ভাতায় তিনি ইমামতি করে আসছেন। বর্তমান সরকার সারাদেশের উপজেলায় উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দেন। সে মতে ২০১৮ সালে কোর্ট মসজিদটি ভেঙে মডেল মসজিদ করার সিদ্ধান্ত নেন। তৎকালীন মসজিদ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইসলামি ফাউন্ডেশন এর মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা প্রতিনিধি ও খুলনা জেলা প্রশাসক। স্থানীয় লোকজন কোর্ট মসজিদ ভেঙে মডেল মসজিদ করার বিরোধিতা করেন। তৎকালীন সময়ে দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ প্রতিশ্রুতি দেন যে, কোর্ট মসজিদের ইমাম, মোয়াজ্জিনকে মডেল মসজিদে নিয়োগ দিবেন। ইতোমধ্যে মডেল মসজিদ নির্মাণ সমাপ্তের পথে। এদিকে বর্তমান ইমামের লক্ষাধিক টাকা বেতন ভাতা বাকি রয়েছে। এরইমধ্যে নতুন ইমাম, মোয়াজ্জিন ও খাদেম নিয়োগের জন্য ১ আগস্ট ২০২৩ তারিখ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন কর্তৃপক্ষ। যাতে ইমামের বয়স ৪৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর বর্তমান ইমামের বয়স ৪৫ বছর ৩ মাস হওয়ায়। সেজন্য বর্তমান ইমাম মামলার বাদী ইমাম পদের জন্য আবেদন করতে পারেনি। মামলার বাদী জানান, পিরোজপুর, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নওগাঁ, সাতক্ষীরায় মডেল মসজিদে ইমাম নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সের সময়সীমা দেওয়া হয়নি। তাছাড়া মামলার বাদিকে তার পাওনা বকেয়া বেতন ভাতা না দিয়ে এবং স্থানীয়দের দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে নতুন নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ২২ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ দিন ধার্য করায় বাদী নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের জন্য নিষেধাজ্ঞা চেয়ে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে গত ২১ নভেম্বর একটি মামলা করেন। যার নম্বর দেওয়ানী-৪১৬/২৩, মামলায় বাদীর নিয়োজিত আইনজীবী অ্যাড. জিএ সবুর ও অ্যাড.এফএমএ রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, মামলাটি শুনানি আন্তে বিজ্ঞ আদালত ইমাম নিয়োগ বন্ধে কেন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে না মর্মে ৭ দিনের শোকজ দেন। মামলার বাদি জানান মডেল মসজিদের সভাপতি শোকজ নোটিশ প্রাপ্তির পর ও নিয়োগ পরীক্ষা নিয়েছেন।