আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে বৃহস্পতিবার (২৩) দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে তিন শিশুসহ পাঁচজন আহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে নজিরবিহীন বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। রাস্তায় বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। বন্ধ রাখা হয় গনপরিবহন সেবা। শুক্রবার বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে। ডাবলিন শহরে এমন বিক্ষোভের ঘটনা বিরল। সাম্প্রতিক সময়ে এত বড় বিক্ষোভের মুখোমুখি হয়নি দেশটি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে ডাবলিনের সিটি সেন্টার এলাকায় ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কয়েক ঘন্টা পর সেখানে তুমুল বিক্ষোভ শুরু করেন অভিবাসী বিরোধী বাসিন্দারা। এ সময় দোকানপাটে লুটপাট চালানোর ঘটনাও ঘটে। আতশবাজি পুড়িয়ে জানানো হয় প্রতিবাদ। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার দাঙ্গা পুলিশ মোতায়েন করলে পুলিশের সঙ্গেও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় পুলিশের একটি গাড়িসহ বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেয় তারা। নিরাপত্তার স্বার্থে ডাবলিনে ওইদিন গনপরিবহন সেবা বন্ধ রাখা হয়। এ হামলার সঙ্গে কোনো ‘সন্ত্রাসী’ সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এটিকে একটি বিচ্ছিন্ন হামলা বলে মনে করছেন তারা। আবাসন সংকটের কারণে দেশটির শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সাধারণ মানুষের অসন্তোষ বেড়েছে। পুলিশের দাবি, সন্দেহভাজন হামলাকারীর পরিচয় নিয়ে ভুয়া তথ্য ছড়ানোর কারণে এই বিক্ষোভের সূত্রপাত। এমন দাঙ্গার জন্য ‘ভুয়া তথ্য’ও উগ্র ডানপন্থীদের দায়ী করেছেন পুলিশ। আইরিশ গণমাধ্যম আরটিই জানায়, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওইদিন ৫০ বছরের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছিলো। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।