নাটোরের লালপুরে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আবদুল গফুর (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত আরেকজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর ২০২৩) পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বাইসাইকেল চালক পাবনার ঈশ্বরদীর আরামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হারেজ প্রামানিকের ছেলে। আহত মোটরসাইকেল চালক রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর নামাজগ্রামের ওসমান গনির ছেলে শিহাব উদ্দিন (২০)। লালপুর থানা ও হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার পৌনে ৩টার দিকে লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাইসাইকেল চালক আবদুল গফুর রাস্তা পারাপারের সময় লালপুর হতে ঈশ্বরদীগামী জিংফু-১০০ সিসি রেজিস্ট্রেশন বিহীন দ্রুতগামী মোটরসাইকেল চালক শিহাব উদ্দিনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। উভয়েই রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত আহত হন। স্থানীয় লোকজন উভয়কেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল গফুরকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মোটরসাইকেল চালক শিহাবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোটরসাইকেলটি লালপুর থেকে ঈশ্বরদী অভিমুখে যাচ্ছিল। সাইকেল আরোহী আবদুল গফুর পালিদেহা মোড়ে রাস্তা পারাপারের সময় মোটরসাইকেলের সাথে সংঘর্ষে দুজন আহত হন। তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসা কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান সাগর বলেন, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে একজন মারা গেছেন। অপরজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।