নাটোরের লালপুরে লাশ উদ্ধারের ১২ ঘন্টার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর বিথি হত্যা'র রহস্য উদঘাটন, আসামি গ্রেপ্তার ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত মাহমুদা শারমিন বিথি (৩২) নাটোর জেলার লালপুর উপজেলার গোপালপুর মুক্তার জেনারেল হাসপাতালে অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত বৃহস্পতি বার (২৩ নভেম্বর ২০২৩) কাজ শেষে প্রতিদিনের ন্যায় রাত ৮ টা'র মধ্যে বাড়ি না ফিরলে তাঁর বাবা মো: আমজাদ হোসেন মেয়েকে অনেক খোঁজ করেও কোন সন্ধান পাননি। শুক্রবার (২৪ নভেম্বর ২০২৩) সকালে লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌরসভার অন্তর্গত তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে একজন মহিলার লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে বিথির বাবা সেখানে গিয়ে মেয়ের লাশ সনাক্ত করেন। অনুমান সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে লাশ পড়ে থাকার সংবাদ পেয়ে লালপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। এ সময় সিআইডি'র ক্রাইমসিন ইউনিটও ঘটনাস্থলে আসে। সুরতহাল শেষে ও বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করে লাশ পোস্ট মর্টেমের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
নাটোর জেলার পুলিশ সুপার মো: তারিকুল ইসলাম (পিপিএম) সার্বিক দিক-নির্দেশনায় বড়াইগ্রাম সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এর নেতৃত্বে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জসহ অন্যান্য অফিসার-ফোর্স ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেন। বিথির লাশ উদ্ধারের মাত্র ১২ ঘন্টার মধ্যে ওই হত্যার ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মোঃ জাহিদ হাসান ওরফে সাদ্দাম (২৯) কে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আহমেদপুর থেকে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গ্রেপ্তার করা হয়। সে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার কামারদহ গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জ্বল হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত সাদ্দাম হত্যার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে অকপটে স্বীকার করেছে এবং তার দেখানো মতে ঘটনাস্থলের পাশের ঝোপ হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়। সাদ্দামের সাথে নিহত বিথির দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক চলে আসছিল। একপর্যায়ে বিথি সাদ্দামকে বিবাহের জন্য চাপ দিলে সাদ্দাম এতে অপারগতা জানিয়ে বিভিন্ন ভাবে টালবাহানা করতে থাকে।
গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আসামি সাদ্দাম বিথিকে কৌশলে ডেকে গোপালপুর পৌরসভার তোফাকাটা মোড় সংলগ্ন রাস্তার পাশে আম বাগানে নিয়ে গিয়ে বিথীকে ধারালো ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
এঘটনায় নিহতের বাবা মো: আমজাদ হোসেন বাদি হয়ে শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) অজ্ঞাতনামাকে আসামি করে লালপুর থানায় এজাহার দায়ের করেন।
লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ উজ্জ্বল হোসেন জানান, আটককৃত সাদ্দাম কে শনিবার (আদালতে প্রেরণ করা হয়।