নাটোরের লালপুরে একদিনে সড়কের একই স্থানে দুর্ঘটনায় আহত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত শুক্রবার লালপুর উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন, লালপুর উপজেলার পালিদেহা গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে সোহান (৩০) ও পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আরামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হারেজ প্রামানিকের ছেলে আবদুল গফুর (৬০)। এ সময় আহত হন, পাবনার দিলালপুর গ্রামের কার্তিক (৩০) ও তার স্ত্রী স্বপ্না (২৬) এবং রাজশাহীর পুঠিয়ার বানেশ্বর নামাজগ্রামের ওসমান গনির ছেলে শিহাব উদ্দিন (২০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সাড়ে ৫টার দিকে পালিদেহা নামক স্থানে সোহান (৩০) রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ লালপুর থেকে ঈশ্বরদীগামী (ডিসকভার-১২৫ সিসি রেজিস্ট্রেশন বিহীন) দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেল চালক কমল (৩০) নিয়ন্ত্রন হারিয়ে পিছন থেকে সোহানকে ধাক্কা দেন। এতে মোটরসাইকেল আরোহী কমলের স্ত্রী স্বপ্নাসহ তিনজনই রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দ্রুত লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোহানকে মৃত ঘোষনা করা হয়।
নিহত সোহানের ভাতিজা সাগর আলী মৃত্যুর বিষয় নিশ্চিত করে বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে রাত সাড়ে ৮ টার সময় জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহানকে মৃত ঘোষনা করেন।
অপর দিকে শুক্রবার পৌনে ৩টার দিকে উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের পালিদেহা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে বাইসাইকেল চালক আবদুল গফুর রাস্তা পারাপারের সময় লালপুর হতে ঈশ্বরদীগামী জিংফু-১০০ সিসি রেজিস্ট্রেশন বিহীন দ্রুতগামী মোটরসাইকেল চালক শিহাব উদ্দিনের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। উভয়েই রাস্তায় ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে রক্তাক্ত জখম প্রাপ্ত হন। স্থানীয় লোকজন উভয়কেই উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবদুল গফুরকে মৃত ঘোষণা করেন। আর মোটরসাইকেল চালক শিহাবকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. উজ্জ্বল হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ বিষয়ে থানায় সড়ক আইনে মামলা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।