নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ বিগত ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৪২ কোটি ৮১ লাখ ৮ হাজার ৩৭৭ টাকা লোকসান গুনেছে। ‘লাভ নয়, লোকসান নয়’ নীতির ভিত্তিতে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি বেশ কয়েক বছর ধরে ঘাটতিতে থাকলেও এবারই সর্বোচ্চ পরিমাণ লোকসান দিয়েছে। পিডিবির কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে গ্রাহক পর্যায়ে পৌঁছাতে প্রতি ইউনিটে ১.২৫ টাকা হারে লোকসানের পাশাপাশি সিস্টেম লস, পরিচালন ব্যয়, ট্রান্সফরমার, মিটার ও তার চুরির কারণে এ মোটা অঙ্কের লোকসান হয়েছে বলে দাবি সমিতি কর্তৃপক্ষের। তবে এ সমিতি ইতোঃমধ্যে নাটোর ও রাজশাহী জেলার ৬টি উপজেলার ৭টি পৌরসভা ও ৭১৫টি গ্রামের চার লাখ ১৪ হাজার ২৯৫ জন গ্রাহককে সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত শতভাগ এলাকাকে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছে। শনিবার বড়াইগ্রামের বনপাড়ায় সমিতির সদর দপ্তরে আয়োজিত ৩৯ তম বার্ষিক সদস্য সভায় সমিতির কোষাধ্যক্ষ শিউলী রানী মৈত্র বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানান।
সমিতি বোর্ডের সভাপতি মো: জামিল হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের উপণ্ডপরিচালক এনামুল হক। সভায় পল্ল¬ী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মোহা: সেলিম উদ্দিনের বাণী পাঠ করে শোনান চিফ গবেষণা কর্মকর্তা শাহজালাল আহমেদ। বক্তব্য রাখেন সমিতির জিএম মোমিনুল ইসলাম ও সমিতির সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম। গ্রাহকের প্রশ্নের উত্তর দেন ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী মো: জাহাঙ্গীর আলম।
সূত্র জানায়, ১৯৮১ সালের ১২ ডিসেম্বর সমিতি বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে। ৪২ বছরে প্রতিষ্ঠানটি চার হাজার ৮৫৮ দশমিক ৭২১ কিলোমিটার বিদ্যুত লাইন সম্প্রসারণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিসহ এক লাখ ৩৫ হাজার নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। তিন হাজার ৬৩০টি সেচ যন্ত্রে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের ফলে ৬১ হাজার ১০১ একর জমি সেচ সুবিধা পাঁচ্ছে। ফলে শুধুমাত্র বোরো মৌসুমে এক লাখ ৫৪ হাজার ৫৩৬ মেট্রিকটন অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন হচ্ছে। এভাবে সমিতি ৬টি উপজেলার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।