কিশোরগঞ্জ-২, কটিয়াদী পাকুন্দিয়া আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন বিএনপির বহিস্কৃত সাবেক সংসদ সদস্য মেজর অব. আখতারুজ্জামান রঞ্জন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার গচিহাটা কলেজ মাঠে স্থানীয় জনসাধারণের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন। বক্তব্যে তিনি বলেন, বিএনপি গত ২৮ তারিখে ফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়ে হেরে গেছে। এখন আর আন্দোলন করে লাভ হবে না। বিএনপির সাথে কেউ নেই। তারেক রহমানের ব্যাপক সমালোচনা করে তিনি বলেন, আপনি বার বার ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। এই ভুল সিদ্ধান্তের জন্য দল প্রতিদিন প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। একের পর এক নেতা কর্মীদের জেলে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের জামিন করাতে পারছেনা। দলের মহাসচিব জেলে, তিনিও জামিন পাঁচ্ছেন না। আমেরিকা, জাতিসংঘ, মানবাধিকার কেউ কোন কথা বলছে না। তা হলে নেতা কর্মীরা কি কারণে মরবে এমন প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, আমার চ্যালেঞ্জ আমার বাজী আমার দলের নেতা জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে। পাকিস্তান ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এ দেশ থেকে হেরে গেছে। এখন আবার যুদ্ধ করবো বললে কি হবে? আপনি ২৮ তারিখ ফাইনাল খেলা দিয়ে হেরে গেছেন। এখন দ্বিতীয় যুদ্ধ শুরু করতে হবে। সেটা হলো জনগণ ভোট দিতে পারে কিনা? নির্বাচনের নিয়ম নীতি মেনে জনগণের কাছে ভোট চাইতে পারি কি না? ৭ তারিখ যদি দেখতাম জনগণ ভোট দিতে পারে নাই। তাহলে ৭ তারিখ থেকেই আবার হরতাল অবরোধ শুরু করতাম। জ্বালাও পোড়াও করে ৭১ এর মত আরেকাটা যুদ্ধ শুরু করতাম। আন্দোলনের মুখে সরকার বুইড়া আঙুল দেখাইয়া তফশিল ঘোষণা করে দিয়েছে। এখন উচিত ছিল নির্বাচনে আইসা সরকারের জবাব দেয়া।
তিনি আরো বলেন, আমাকে বেইমান বলে। আমি কেমনে বেইমান হলাম। আমি তো যা বলি প্রকাশ্যে বলি। আমি একজন বহিস্কৃত, সাবেক। আমার কোন পদ নাই। সাধারণ সদস্যপদও নাই। কিন্তু আমি বিএনপির ছিলাম, আছি, থাকবো। হয়তো নামের আগে পরে সাবেক বা বহিস্কৃত লেখা থাকবে। আমৃত্যু বিএনপি থাকবো। যদি দল বদল করি তাহলে আপনারা আমাকে হাছুন দিয়া পিটাইয়েন।
সরকার যেহেতু বার বার সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলছে। তাহলে আমাকে পরীক্ষা করে দেখতে হবে না? উপস্থিত জনতার সামনে এমন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এই পরীক্ষার সুযোগ দিবেন? জানতে চান। উপস্থিত জনতার হ্যাঁ উত্তর শুনে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র নির্বাচনের অনুমতি দিলে আপনারা হাত তুলে আমাকে দেখান। উপস্থিত জনতা হাত তুলে দেখালে তিনি শুকরিয়া আদায় করে বলেন, তাহলে আজ এই মুহূর্ত থেকে আমাদের নির্বাচনী যাত্রা শুরু হলো। বক্তব্যে তারেক রহমানের ব্যাপক সমালোচনা করলেও বক্তব্য শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, তারেক জিয়া জিন্দাবাদ বলে বক্তব্য শেষ করেন। মত বিনিময় সভায় স্থানীয় ৫-৭শত লোক উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে গচিহাটা বাজারে একটি শুভেচ্ছা মিছিল করেন।