ভারতের উত্তরাখণ্ডের সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ বারবার থমকে যাচ্ছে। সর্বশেষ খনন অভিযান থেমে যাওয়ার প্রায় ১২ ঘণ্টা পর যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অগার মেশিনের ব্লেডের ভাঙা টুকরা সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়। এরপর থেকে হাতের সাধারণ যন্ত্রের সাহায্যে কাজ চলছিল।
শ্রমিকদের উদ্ধারে অগার মেশিনের মাধ্যমে খননকাজ চলার সময় গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মাটির নিচের লোহার কাঠামোর সঙ্গে আঘাত লেগে যন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্স বলেন, ‘এই যন্ত্রটি পুরোপুরি ভেঙে গেছে। এ কারণে চারবার আমরা খননকাজে ব্যর্থ হয়েছি। তাই আর অগার মেশিন দরকার নেই।’
সুড়ঙ্গ অভিযানের দায়িত্বে থাকা জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, এখন যন্ত্রের ভাঙা অংশগুলো হাত দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
তাঁর মতে, খননকাজের প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে গেছে। তাই শেষ অংশটুকু হাতে চালানো যন্ত্রের সাহায্যেই করা হচ্ছে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি বলেছেন, হায়দরাবাদ থেকে প্লাজমা কাঁটার মেশিন আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অগার মেশিনের ভাঙা ব্লেডগুলো কেটে বের করে আনার কাজে এটি ব্যবহৃত হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সুড়ঙ্গের ভেতরে মূল জায়গার খুব কাছে গিয়ে অগার মেশিন আটকে গেছে। রোববার সকালের মধ্যে যন্ত্রটির ভাঙা অংশ বের করে আনা সম্ভব হবে। এরপর গাঁইতি, শাবল দিয়েই বাকি অংশ খোঁড়ার কাজ শুরু করা হবে।
আরেক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন, সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকরা সুস্থ আছেন এবং তাঁরা মনের জোর ধরে রেখেছেন। তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না, উদ্ধারকাজে তাড়াহুড়া করে নতুন কোনো ধস তৈরি হোক। শেষ পাঁচ মিটার খনন করা বেশ চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়াচ্ছে।’
গত ১২ নভেম্বর উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশি জেলার একটি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের একাংশ ধসে পড়ে ৪১ জন শ্রমিক ভেতরে আটকা পড়েন।
সূত্র : এনডিটিভি