রাজশাহীর পুঠিয়ায় ভালুকগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক জোরপূর্বক এমএলএসএস (পিয়ন) চাকরি থেকে অপসারণ করে অন্যকে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগি বাধ্য হয়ে জেলা শিক্ষা অফিস বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগে জানা গেছে,ভালুকগাছি উচ্চ বিদ্যালয়ে এমএলএসএস (পিয়ন) পদে সাগর আলী ২০১৪ সালে ওই প্রতিষ্ঠানে চাকরি পান। ২০১৪ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এমএলএসএস (পিয়ন) পদবী পরিবর্তন করা হয়েছে। এই পদটিকে বর্তমানে অফিস সহায়ক নাম করণ করা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে সাগরকে প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ নিরাপত্তা প্রহরী পদে সমন্বয় করে অন্য জনকে অফিস সহায়ক পদে চাকরি দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। সাগর বলছেন,২০২২ সালের শিক্ষক-কর্মচারী পদপদবী কাঠামো স্বাক্ষর তারিখ জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক ২০২৩ সাল দেখিয়ে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজ ২৭ নভেম্বর সহায়ক পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু জেলা শিক্ষা অফিসের এক উধর্বতন কর্মকর্তার নজরে আসলে তিনি নিয়োগ বন্ধ করার আদের্শ দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং প্রধান শিক্ষক সহায়ক পদে নতুন অন্য জনকে নিয়োগ দিতে পাড়লে তারা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতে পাড়বেন। অথচ আমি একজন ডিগ্রী পাস ছেলে। সে বলেন, প্রধান শিক্ষক পদ সমন্বয় করার জন্য আমার নিকট ২ লক্ষ টাকা চেয়ে ছিল কিন্তু আমি টাকা দিতে পারিনি। আমি বাধ্য হয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস এবং জেলার অফিসে অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে ভালুকগাছি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশিদ বলেন, আমি যা কিছু করছি বৈধভাবে এবং আইন মোতাবেক। এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীন বলেন, নিয়ম বহির্ভূত কোনো কাজ বিদ্যালয়ে করতে দেওয়া হবে না। আমি যতটুকু বুঝতে পারছি, প্রধান শিক্ষক চালাকি করে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি নিয়োগ বন্ধের চিঠি ইতোমধ্যে পাঠিয়ে দিয়েছি। আর প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।