নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন, আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা রয়েছে একটি অংশগ্রহনমূলক ও গ্রহনযোগ্য সুষ্ট নির্বাচন করার। নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসন। ভোটার যেন ভয়ভীতিহীনভাবে কেন্দ্রে যেতে পারে সেজন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহায়তা করবেন। নির্বাচনে কোন দল এল না এল না সেটি রাজনৈতিক। আমার সাংবিধানিক দায়িত্বের আওতায় পরেনা। এখনো আমি মনে প্রাণে চাই সকল দলের অংশগ্রহনে উৎসবমুখর হোক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বরিশাল, ভোলা ও পটুয়াখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক শেষে রোববার দুপুরে বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে প্রশাসনিক কর্মকর্মকর্তাদের সাথে ঘন্টাকালব্যাপী রুদ্ধতার সভা শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে কমিশনার এসব কথা বলেন। নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন মনে করে সকলের ওপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ নিরপেক্ষভাবে পালন করবেন। দায়িত্ব পালনে কখনো দলীয় মনোভাব পোষণ করা যাবেনা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কখনো অতিউৎসাহী হয়ে এমন কোন আচরণ করবেন না, যাতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা আন্তরিক। ব্যক্তিগতভাবে তাদের (বিএনপি) সাথে কথা বলেছি। কমিশন অনানুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাওয়াত দিয়েছে, আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দিয়েছে। বলেছি, আসেন-দেখেন কাছ থেকে, আমি কতটুকু খারাপ বা ভালো তা কাছ থেকে বিবেচনা করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের প্রতি আহবান রেখে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংবাদমাধ্যম আমাদের প্লাটফর্ম। নির্বাচনের দিন যা দেখবেন তা প্রচার করবেন। কেউ এসে যদি বলে ভোট দিতে দিচ্ছে না, ব্যালট নিয়ে যাচ্ছে বা সিল মেরে দেওয়া হচ্ছে সেটাই প্রচার করেন। আমরা কোন অন্যায়ের সহায়তাকারী নয়। কোন পার্টিবাজী বা পক্ষপাতিত্বমূলক নয়। এসময়ে অন্যান্যের মধ্যে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ শওকত আলী, রেঞ্জ ডিআইজি জামিল হাসান, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম, বরিশালের জেলা প্রশাসক মোঃ শহিদুল ইসলামসহ নির্বাচন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।