আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুরের সরিষাবাড়িতে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থি হিসেবে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন গত (২৬ নভেম্বর) রোববার দুপুরে। আর আজ (২৭ নভেম্বর) সোমবার দুপুরে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করলেন সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ আবদুর রশিদ। ডা. মুরাদ হাসান ও অধ্যক্ষ আ. রশীদ দু'জনই আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা বলে সাধারণ ভোটারেরা জানান এদিকে আওয়মী লীগের নৌকায মনোনিত হয়েছেন তরুণ রাজনীতিবিদ ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল। সরিষাবাড়িতে ইঞ্জিনিয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল, ডাক্তার মুরাদ হাসান এমপি ও অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ এই তিন জনই সমান তালে এগিয়ে আছেন বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। যা প্রকাশ পায় স্ব স্ব নেতার ডাকে মহা সমাবেশে কর্মী সমাগমের মাধ্যমে। এই জন প্রিয় শক্তিশালী ৩ নেতা নির্বাচনে মাঠে নামলে চমকপদ খেলা হবে বলে রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। জানা যায়, ইঞ্জিনয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল সরিষাবাড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্য ও প্রাণী বিষয়ক সম্পাদক। তা ছাড়া তার পিতা মহান মুক্তিযুদ্ধের জেলার অন্যতম সংগঠক এবং বন্ধু পার্লামেন্টের দৃই দুইবারের সংসদ সদস্য ছিলেন। ইঞ্জিনিয়ার হেলাল গত দুই বছরে মাঠ ময়দানে ঘুরে ফিরে সভা সমাবেশ করে সাধারণ ভোটার ও নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করে তুলেছেন। ইঞ্জিনয়ার মাহবুবুর রহমান হেলাল একজন যবরদস্ত আওয়ামী পরিবারের সন্তান। তিনি এবার কোমড় বেধেই মাঠে নামবেন। খেলবেন ভোট যুদ্ধে জয় পরাজয়ের খেলায়। ডাক্তার মুরাদ হাসান। সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমান এমপি। তিনিও একজন আওয়ামী পরিবারের সন্তান। জানা যায়, তার বাবা প্রয়াত এডঃ মতিয়ার রহমান তালুকদার মহান মুক্তিযুদ্ধের একজন অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি একাধারে দীর্ঘ ৪০ বছর জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও বার সমিতির সভাপতি এবং জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর ছিলেন। ডা. মুরাদ হাসান একজন তুখোড় রাজনীতিবিদ এ অনল বর্ষী বর্ষীয়ান নেতা। একে একে দুইবার জাতীয় সংসদে এমপি নির্বাচিত হন। মাঝে দিনি ধর্মীয় বক্তব্য ও নারী কেলেংকারীতে আলোচিত হলে দেশে বিদেশে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। যে কারণে তিনি কিছুদিন লোক চক্ষুর অন্তরালে চলে যান। পরে আবার মাঠে নেমে পড়লে তার নেতাকর্মীরা চাঙ্গা হয়ে ওঠে। গত ৫/৬ মাসের মধ্যেই মাঠে ঘাটে মিছিল মিটিং-এ বক্তব্য রেখে ভোটারদের মন জয় করতে সক্ষম হন। তিনি প্রতিটি মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার সময় বলতেন সরিষাবাড়িতে নৌকার বিজয় এবং বিএনপিকে ঠেকাতে ঠেকাতে এই মোরাদ ছাড়া আর কেউ নেই। সেই শক্তিতে বলীয়ান হয়ে এবারও নৌকার মাঝি হওয়ার প্রত্যাশাঢ ছিল কিন্তু পাননি। অধ্যক্ষ আবদুর রশীদ সোমবার দুপুরে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেছেন বলে একাধিক সূত্র হতে জানা গেছে।। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও তেজগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি দীর্ঘদিন সুনামের সাথে তেজগাঁও কলেজ এ- বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি তার চাকুরী কালীন সময়ে ঐলাকার অনেক বেকার শিক্ষিত ছেলেমেয়েদর চাকুরীর ব্যবস্তা করে দিয়েছেন। অনেক গরীব দুঃখী ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ যোগান দিয়ছেন। তাছাড়া এলাকায় অসহায় দুঃস্থ মানুষের সাহায্য সহযোগতা প্রদান করেন। ফলে তার সেবামূলক কর্মকান্ড, দানশীল শিক্ষানুরাগী জনহিতৈষী সেবা দ্বারা মানুষের মন অতি সহজেই জয় করে নিয়েছেন। বিগত তিন বছরে মাঠে ঘাটে আনাচে কানাচে ঘুরে ঘুরে তার রাজনীতির মাঠ চাঙ্গা করে তুলেন। তিনি গত টার্মেও এমপি প্রার্থী ছিলেন। সেবার কোন কারণ বশতঃ মনোনয়ন না পেলেও এ বছর তার বিশ্বাস ছিল প্রগাঢ়। কিন্তু এবারও মনোনয়ন না পেয়ে অবশেষে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফরম ক্রয করলেন। তবে এলাকার সুধীজন ও রাজনীতি নেতাদের ধারণা সরিষাবাড়িতে এবার দ্বাদশ জাতীয় সঋসদ নির্বাচনে খেলা হবে। তিন জনই সমানে সমান। কেউ ধারে কাটবে,কেউ ভরে কেউবা আবার ভোটারদের মন জয় করে। বিএনপি নির্বচনে না এলে আওয়ামী লীগের তিন খেলোযাড়ের মধ্যেই খেলা হবে কে হারে কে জিতে। ততক্ষন নির্বাচনের ফলাফল পর্যন্ত দেখা যাক কোথাকার বানি কোথায় গিয়ে পড়ে।