গাজীপুর-২ আসনটি রাজধানী ঢাকার সন্নিকটে হওয়ায় গাজীপুরের ৫টি আসনের মধ্যে এই আসনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আসনটি এলাকার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিল্পবাণিজ্যে অত্যধিক গুরুত্ববহন করে। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে গাজীপুর-২ আসনে জমতে শুরু করেছে নির্বাচনী মাঠ। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়ে উঠান বৈঠক ও বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে নৌকার পক্ষে সমর্থন চাইছেন।
অপর দিকে গাজীপুর -২ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচনে লড়তে মনোনয়নপত্র কিনেছিলেন গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক মো. সাইফুল ইসলাম। দলের নীতি নির্ধারণী কমিটির সিদ্ধান্তে রোববার গাজীপুর-২ সংসদীয় আসনে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।
আসনটিতে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম। ইতোমধ্যে তিনি নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সাইফুল ইসলাম গাজীপুর মহানগরের টঙ্গী কাঠালদিয়া এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা।
সোমবার দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২২ নভেম্বর আমি নির্বাচন কমিশন থেকে এ আসনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছি। সোমবার মনোনয়নপত্র জমা দিব। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-২ আসনে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এর আগে গাজীপুর-২ সংসদীয় আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য পাঁচজন দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এরা হচ্ছেন-বর্তমান সংসদ সদস্য এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তফা হুমায়ন হিমু ও আওয়ামী লীগ কর্মী মেজবাহ উদ্দিন সরকার রুবেল। বিচার বিশ্লেষণ শেষে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলকে গাজীপুর-২ আসনে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামীলীগ।