ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সরকারি ৪ কার্টুন ঔষধসহ একটি ভ্যান গাড়ি আটক করে স্থানীয় জনতা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে কালীগঞ্জ কোটচাদপুর সড়কের বিহারীমোড় নামক স্থানে। ভ্যান গাড়িটির উপর থাকা চারটি কার্টুনে লেখা ‘‘ঔষধ শুধুমাত্র কমিউনিটি ক্লিনিকে ব্যবহারের জন্য ও গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সম্পদ। এ ওষুষ ক্রয় বিক্রয় আইনত দন্ডনীয়’’। সরকারি ওষুধ কালীগঞ্জ হাসপাতাল থেকে দায়িত্বহীন ভাবে পরিবহনের নেওয়ার কোন নিয়ম না থাকলেও কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের রোকসানা খাতুন তা আমলে না নিয়ে নিজ দায়ত্বের প্রতি অবহেলা করেছেন। সরকারি ওষুধ বহনকারী ভ্যানচালক আকবর বিশ্বাস জানান, আমি ২ শত টাকা ভাড়া ঠিক করে এই ওষুধ গুলো কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকে পৌঁছে দেবার জন্য কালীগঞ্জ হেলার সরকারি হাসপাতাল থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। কমিউনিটি ক্লিনিকের রোকসানা খাতুন এই মালগুলো আমাকে পৌঁছে দেবার জন্য বললেও তিনি মালের সাথে আসেননি এবং মালের কোনো বৈধ কাগজপত্র বা চালান ও দেননি আমাকে। যে কারণে বিহারীমোড় নামক এলাকায় পৌঁছালে এই ওষুধ সম্পর্কে স্থানীয় কয়েকজন আমাকে নানা ধরনের প্রশ্ন করেন। আমি কাগজপত্র না দেখাতে পারাই ওখানকার সব ঘটনা রেকসোনা আপাকে ফোনে জানাই। প্রত্যক্ষদর্শী লিখন নামের এক ব্যক্তি বলেন, ভ্যানের উপর সরকারি ওষুধ দেখে তাদের সন্দেহ হয় যে কারণে তারা জানতে চান ওষুধ কোথায় যাবে। এ সময় ভ্যান চালক প্রয়োজনীয় কোস কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তাদের আরও সন্দেহ হয় এবং কোনো সদুত্তর ভ্যানচালক দিতে না পারায় থানা পুলিশকে ব্যাপারটি জানায়। পরবর্তীতে থানা পুলিশ ও স্থানীয় কাউন্সিলর এসে ব্যাপারটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেন। এ ব্যাপারে কালুখালী কমিউনিটি ক্লিনিকের হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার রোকসানা খাতুনের বলেন, সরকারি ওষুধ দায়িত্বহীন ভাবে পরিবহনের নিয়ে যাওয়াটা আমার ভুল হয়েছে। শহরে আমার ব্যাক্তিগত কাজ ছিল যে কারণে ওষুধের ভ্যানটি পাঠিয়ে দিয়েছিলাম। কালীগঞ্জ থানার এসআই হুমায়ুন কবির বলেন, স্থানীয়দের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে ভ্যানের উপরে কমিউনিটি ক্লিনিকের ৪ কার্টুন সরকারি ওষুধ দেখতে পাই। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে ব্যাপারটি সমাধানের করার চেষ্টা করি। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।