ঝিনাইদহে কালীগঞ্জে যে মিষ্টিটিকে এক নামে সবাই চেনে, সেটি ল্যাংচা মিষ্টি। শুধু ঝিনাইদহ নয় আশপাশের জেলাতেও এই মিষ্টি দারুণ জনপ্রিয়। সকাল থেকেই তাই মিষ্টির দোকানে শুরু হয় জমজমাট বেচাকেনা। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না। এই মিষ্টির কেজি ১৪০ টাকা,প্রতি কেজিতে থাকে ১১ পিস। এত কম দামে সুস্বাদু মিষ্টি মেলায় এর চাহিদা বছর জুড়েই থাকে। কালীগঞ্জ শহরের ফয়লা কোলা রোডে এই মিষ্টির দোকানের অবস্থান।
এলাকাবাসী জানান, ল্যাংচা প্রথম বিক্রি শুরু করেন সুবল গাড়াল। ১৫ বছর আগে তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর থেকে তার ছেলেরা এই ব্যবসার হাল ধোরে রেখেছে। দু,জন দুটি দোকান চালান প্রতিদিন। একটির নাম 'সুবল ল্যাংচা' ও আরেকটির নাম'মেজদার জলযোগ।'
শ্যামল কুমার বলেন, 'বাবার মৃত্যুর পর আমি ও আমার মেজো দাদা এই ব্যবসার হাল ধরি। আমার দোকানের নাম সুবল ল্যাংচা ও দাদার দোকানের নাম মেজদার জলযোগ। প্রতিদিন দুই দোকানে প্রায় ৬০০ কেজি মিষ্টি বিক্রি করি। ১০ জন লোক প্রতিনিয়িত আমাদের দোকানে কাজ করেন। যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, ফরিদপুর, খুলনা ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মিষ্টি সরবরাহ করা হয়। দুপুর ১২টার পর আর কোনো মিষ্টি অবশিষ্ট থাকে না।' মানুষের যে পরিমান চাহিদা তা আমরা মিটাতে পারি না। অনেকেই মিষ্টি না পেয়ে ফিরে যান। 'আপনি একবার আমার এই মিষ্টি যদি খান, আবার খেতে ইচ্ছে হবে। যেমন নরম, তেমন স্বাদ, যোগ করেন তিনি। আবশ্য কালীগঞ্জ,ঝিনাইদহ, যশোর এলাকায় অনেবই এই ল্যাংচা মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু কালীগঞ্জের এ দুই দোকানের মত ল্যাংচা কেউ তৈরি করতে পারেনি।
এই সময়ে এসে কম দামে কীভাবে মিষ্টি দিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'বাবা অনেক বছর ব্যবসা করেছেন। এখন বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ মিষ্টি কিনতে আসেন, আমাদের বিক্রি অনেক বেশি। তাই এখনও কম দামে দিতে পারছি, আমাদের পুষিয়ে যাচ্ছে।'
সরকারি নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন তোতা ও মোবারক আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আজমল হাসান টিপু বলেন, 'স্কুলের বিভিন্ন মিটিং ও অনুষ্ঠানে আমরা এই মিষ্টি পরিবেশন করি।