বরিশালের আগৈলঝাড়া রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে স্ব-পরিবা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসের অভিযোগ উঠেছে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তন্ময় বৈদ্য বিরুদ্ধে। স্থানীয়রা বিষয়টি সাংবাদিকদের জানালে সাংবাদিকারা ঘটনা স্থলেগেলো ওই শিক্ষক সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। উপজেলা নির্বাহী শ্রেণিকক্ষে বসবাস করার কোন সুযোগ নেই। স্থানীয়দের অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে স্ব-পরিবারে দীঘ কয়েক বছর ধরে বসবাস করে আসছেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবসায়ী শিক্ষা বিভাগের সহকারী শিক্ষক তন্ময় বৈদ্য। ওই শিক্ষকের বাড়ি একই উপজেলার বাগধা ইউনিয়নের আস্কর গ্রামে। তিনি বিদ্যালয়টির পূর্ব পাশের একতলা নতুন ভবনে একটি শ্রেনীকক্ষ দখল করে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন। বসবাসরত কক্ষের সাথেই শ্রেণিকক্ষে চলছে পাঠদান। এতে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা। বিদ্যালয়ের টেবিল ও বেঞ্চ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে তাদের খাবার টেবিল ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের বিল পরিশোধ করতে হয় বিদ্যালয়ের। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের উপরে ক্ষিপ্ত হয় শিক্ষক তন্ময় বৈদ্য ও তাঁর স্ত্রী। একাধিক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশে অনিচ্চুক বলে, ক্লাশরুম সাথে স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে বসবাস করাতে তাদের পড়াশুনায় সমস্যা হচ্ছে। ক্লাস চলাকালিন সময় রান্না করে এতে আমাদের চোখজ¦লে ও হাসি-কাশি হয়। এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কার্তিক চন্দ্র বাড়ৈ বলেন, শিক্ষক তন্ময় বৈদ্যর আবেদনের প্রেক্ষিতেই তাকে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে থাকতে দেয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির বিষয়টি ভালো জানেন। অভিযুক্ত শিক্ষক তন্ময় বৈদ্য কাছে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে, তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলতে রাজিনা। তিনি এ সময় সাংবাদিকদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক অফিসার মো.মাহাবুবর রহমান সাংবাদিকদের জানান, যদি ওই শিক্ষক স্ব-পরিবার নিয়ে শ্রেণিকক্ষ দখল করে বসবাস করে থাকেনতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিত্যনন্দ মজুমদার বলেন, আমরা তাকে থাকতে দিছে এটা সত্য। কিন্তু কা¬শ চলাকালে রান্না করলে শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয় তা আমার জানা ছিলো না। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ দখল করে থাকার কোন সুযোগ নেই। শিক্ষক শ্রেণীকক্ষ দখল করে থাকার বিষয়টি আমি জানতে পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সরেজমিনে তদন্তকরে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।