ঘূর্ণিঝড় মিধিলি ও নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে খুলনার পাইকগাছায় হলুদের আবাদ বেড়েছে। উপজেলার কপিলমুনি হলুদের যথেষ্ট সুনাম সুখ্যাতি রয়েছে। এলাকা ছাড়িয়ে দেশের অন্যত্রসহ বিদেশেও এ অঞ্চলের হলুদের সুখ্যাতি রয়েছে। হলুদের মানও ভালো। গুড়া বা পাওডার হলুদ বাঙালী রান্নায় মসলা হিসেবে ব্যবহার করে। এর প্রাকৃতিক দুর্যোগে প্রতিকূলতা কাটিয়ে উপজেলায় চলতি বছরও হলুদের আবাদ ভালো হয়েছে। কৃষকরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে হলুদ ক্ষেত পরিচর্যায়। ২০২০ সালে ১২০ হেক্টর জমিতে হলুদ আবাদ করা হয়। উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩০হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হয়েছে। উপজেলাঢ ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়-লীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত জমি রয়েছে। এসব ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে উঁঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জমিতে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। হলুদ চাষের জন্য উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ওল, কচু ও আলুর বীজ রোপণ করা যায়। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটী, তোকিয়া, গোপালপুর, মঠবাটী ও গদাইপুর, কপিলমুনি ও হরিঢালী ইউনিয়নের সলুয়া গ্রামে হলুদের আবাদ হয়। হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মাটি সমান করে দু’পাশের মাটি উঁচু করতে হয়। এই উঁঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। উঁঁচু মাটির পাশে হালকা নালার মতো তৈরি করতে হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না। ঐসব ইউনিয়নের কয়েকজন চাষী জানান, প্রায় প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও হলুদের বীজ রোপণ করেছেন। হিতামপুর গ্রামের হলুদ চাষী সবুর হোসেন জানান, প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপন করেছেন। তবে ঘূর্ণিঝড় ও নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে পরিচর্যার পরে হলুদের আবাদ ভালো হবে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, হলুদ একটি লাভজনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল, কচু ও আলুর বীজ রোপন করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এখন আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেছেন।