আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির (জিএম কাদের) দুইজন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার শেষ দিনে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে (সরাইলে) দলীয় প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মো. আবদুল হামিদ। একই দিন রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে জাপা’র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। একই আসনে একই দলের দুইজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমার বিষয়টি ভাবনায় ফেলেছে সাধারণ ভোটারদের। এখানে জাপা’র প্রার্থী দুইজন কেন? দু’জনের মধ্যে কে পাবেন দলীয় প্রতীক লাঙ্গল? আবদুল হামিদ বলছেন তিনি এই আসনে কেন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তা আমার জানা নেই। আর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বলছেন, যাচাই-বাছাইয়ের দিনে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হবে। রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। এই আসনে জাপা’র কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক ঘোষিত প্রার্থী হলেন মো. আবদুল হামিদ। গত ৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত এই আসনের উপনির্বাচনেও তিনি লাঙ্গল প্রতীকে নির্বাচন করে জামানত হারিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারে আবদুল হামিদ জাপা’র মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন ও জমা দেন। আর জেলায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাপা’র প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় নেতা রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। রেজাউল ইসলাম ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের সংসদ নির্বাচনেও এই আসনে জাপা’র মনোনিত প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনের মাত্র ৪/৫ দিন আগে ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রেজাউল ইসলাম। মো. আবদুল হামিদ বলেন, আমি তো এই আসনে দলীয় সিদ্ধান্তে প্রার্থী। এই আসনে রেজাউল ইসলামের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার বিষয়টি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানতে পেরেছি। তিনি কেন মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আমার জানা নেই। খুঁজ খবর নিয়ে বিষয়টি দেখছি। তবে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। একই দলের দু’জন ব্যক্তি একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেন না। দলীয় প্রতীক এক আসনে দু’জনকে দেয়ার কোন বিধান নেই। আগামী ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের দিনে একটি বাতিল হয়ে যাবে।