আমরা ফসল উৎপাদন করবো আর সেই ফসল রাতের আঁধারে আরেকজন কেটে ঘরে তুলবে, আমরা সেটা চাই না। আমাদের ফসল আমাদের ঘরে রাখতে চাই। আমরা কোনো বহিরাগতর ঘরে ফসল নিতে দেবো না।
বরিশাল-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর হোসেনের এ বক্তব্য নিয়ে গত তিনদিন ধরে ব্যাপক তোলপাড় চলছে গোটা বরিশালজুড়ে। যা নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা পরেছেন চরম বিব্রতকর অবস্থায়।
শুক্রবার সকালে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট লস্কর নুরুল হক বলেন, এ বক্তব্য যে দিয়েছেন, তিনি আওয়ামী লীগের একটি দায়িত্বশীল পদে রয়েছেন। এছাড়াও তিনি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তার মতো দায়িত্বশীল মানুষের মুখে এ ধরনের আপত্তিকর বক্তব্য বেমানান। তার এই বক্তব্য পুরো আওয়ামী লীগের ওপর গিয়ে পরেছে। তিনি আরও বলেন, দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে এ ধরনের বক্তব্য দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের সামিল। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে অবহিত করা হয়েছে। এখন আমরা কেন্দ্রের দিকে তাকিয়ে আছি, তারা কি ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন করেন সে বিষয়টি দেখার জন্য।
উল্লেখ্য, নগরীতে শান্তি সমাবেশের নামে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া সদস্য সাবেক সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর নির্বাচনী প্রচারনায় গত ২৯ নভেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম জাহাঙ্গীর হোসেন আরও বলেছেন, কোনো প্রশাসন ব্যবহার করে আপনারা বাক্স ভরবেন সেই সুযোগটি নেই, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আমাদের নির্যাতন করেছে, সেই সুযোগ এবার নেই। এ ধরনের বক্তব্যটি বিভিন্ন মিডিয়াসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে নিজ দলের পাশাপাশি বিরোধী দলের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।