দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশালের ছয়টি আসনে ৫৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এরমধ্যে দুইজন প্রার্থী দুইটি করে আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে এই মনোনয়নপত্রগুলো দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ের কন্ট্রোলরুমের দায়িত্বে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বরিশাল-১ আসনে চারজন প্রার্থী, বরিশাল-২ আসনে ১৩ জন, বরিশাল-৩ আসনে নয়জন, বরিশাল-৪ আসনে ছয়জন, বরিশাল-৫ আসনে আটজন এবং বরিশাল-৬ আসনে সর্বোচ্চ ১৬ জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এরমধ্যে বরিশাল-২ ও ৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং বরিশাল-২ ও ৫ আসনে জাপা মনোনীত ইকবাল হোসেন তাপস মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া শেষসময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা) আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য পঙ্কজ দেবনাথ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, আমি আগে থেকেই মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে চাইনি। তবে নেতাকর্মীদের কারণে শেষসময়ের কিছু আগে অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ। তিনি ইতোমধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে ড. শাম্মী আহমেদের দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে। তিনি একসাথে অস্ট্রেলিয়া এবং বাংলাদেশের নাগরিক। বিধি অনুযায়ী, অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব সারেন্ডার করার কথা থাকলেও তিনি সেটি করেননি। আর তা যদি সত্যিই হয়, তাহলে তার জমা দেওয়া মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে।
তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল-৪ আসনের নৌকার প্রার্থী ডক্টর শাম্মী আহমেদ বলেন, আমি বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন মেনে সব কিছু করেছি। সংবিধান পরিপন্থি কোনো কাজ কারিনি। নির্বাচন কমিশন চাইলে বিষয়টি জানতে পারবে। এটা গোপনীয় ও কঠিন কোনো বিষয় না। যারা এসব ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।