বিয়ে করতে বরযাত্রী নিয়ে গেলেন ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) নিজস্ব দু,টি বাস। গাড়ির সামনে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগ লাগানো বাস, বিধি অনুযায়ী বাম্পারে ছিলোনা অন পেমেন্ট লিখত কোন বোর্ড। আবাহন কুষ্টিয়া-স ১১-০০০৯ ও বিজয়-৭১ কুষ্টিয়া- স ১১-০০০৮ দুটি বাস ব্যবহার করা হয়েছে বিয়ে অনুষ্ঠানে। (৩০ নভেম্বর) কুষ্টিয়া ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদের সামনে রাখা হয় বাস দুটি। ভেড়ামারা অডিটোরিয়াম কাম কমিউনিটি সেন্টারে বিয়ে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বিয়ের। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের ছেলের বিয়ে অনুষ্ঠানে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় লেখা দুটি বাসে বরযাত্রী নিয়ে সেখানে যায়। ঘটনার সত্যতা জানতে বিয়ে বাড়ির একাধিক লোকজনের সাথে কথা হলে তারা বিষয়টি স্বীকার করেন। এইচ এম আলী হাসান ইবির রেজিস্ট্রার সে জন্য বাসে চড়ে এসেছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ইবির সরকারি গাড়ি কী করে ব্যবহার হচ্ছে বিয়েতে' তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি ভেড়ামারা উপজেলা পরিষদে এমন প্রশ্নের জবাবে, গাড়ির চালকের সাথে কথা হলে চালকও স্বীকার করেছেন যে এই গাড়ি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে ইবির পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন বলেন, রেজিস্ট্রার আমাদের আশস্ত করে বলেছিলো যে তিনি পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে গাড়ি নিবেন। তবে আমরা আপত্তি করে বলেছিলাম হরতাল অবরোধের মধ্যে আমরা গাড়ি দিচ্ছি না। তবে তিনি যদি পুলিশ প্রটেকশন মেনে গাড়ি নেয় তখনতো আমাদের আর কিছু করার থাকে না। তিনি আমাদের বলেছেন যে তিনি যদি গাড়ি নেন পুলিশ প্রটেকশন মেনেই নিবে। আর আমাদের বিধিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা নির্দিষ্ট ভাড়া আছে সেটা পরিশোধ করে গাড়ি নিতে পারবে। ঘটনার বিষয়ে ইবির রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, আমি ভিসি স্যারের অনুমতি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট ভাড়া কর্তনের বিনিময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িটি ভাড়া নিয়েছি। আর আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিমালায় শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের গাড়ি ভাড়া নেওয়ার অনুমতি রয়েছে। হরতালের কারণে পুলিশ প্রশাসনের দরখাস্ত করেছিলাম তাদের আশ্বস্ত করার পরেই গাড়ি নিয়েছিলাম। আমাদের সাথে কোনো পুলিশ না থাকলেও রাস্তায় পেট্রোল পুলিশ আমাদের নিরাপত্তা দিয়েছিলো। এ বিষয়ে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) উপাচার্য ড. আবদুস সালাম এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, পরিবহনের বাস ব্যবহারের এই আইনটা আমার জানা নেই। বাস ব্যবহারের বিষয়ে পরিবহন প্রশাসক ভালো বলতে পারবেন। তবে একটা নিয়ম আছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা নির্দিষ্ট অর্থ পরিশোধ করে একটি পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে। উল্লেখ্য, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের সচিবালয় স্মারক নং ৭০০৯/২/ঈরা-১, তারিখ ২৭ জুলাই, ১৯৮২ ও ১২ ডিসেম্বর ১৯৮২ এবং সরকারি যানবাহন (ব্যবহার নিয়ন্ত্র) বিধিমালা, ১৯৮২ এখনও নিম্নোরুপ ভাবে কার্যকর রয়েছে। ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন গ্রহণ করিতে হইবে এবং গাড়ীর সামনের বাম্পারে “অন পেমেন্ট” লিখিত বোর্ড লাগাইতে হইবে। এ বিধি অনুযায়ী, অনুষ্ঠানে ব্যবহৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের সামনে বা বাম্পারে অন পেমেন্ট লিখত কোন বোর্ড দেখা যায়নি।