আগামী ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরের এপিএভুক্ত বার্ষিক বহিরঙ্গন কর্মসূচীর আওতায় রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার মিঠিপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর মৌজায় ভূতাত্ত্বিক খনন কূপ জিডিএইচ ৭৮/২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিদ্যুত, জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ¦ালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জিএসবি আনুষ্ঠানিকভাবে বর্ণিত স্থানে কূপ খনন কাজ শুরু করেন। এ উপলক্ষে এক আলোচনা সভা উপজেলা নিবার্হী কর্মকতার্ ইকবাল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর জিএসবি’র জ্যেষ্ঠ পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) আলী আকবর, পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) আরিফ মাহমুদ, কামাল হোসেন, পরিচালক (খনন ও প্রকৌশল) মহিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা মিয়া, জিএসবি’র গবেষনা দলের উপ-পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) আশরাফ হোসেন, সহকারি পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) আনোয়ার সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, ওমর ফারুক খান, আবদুর রাজ্জাক, জিএসবি’র ড্রিল প্রকৌশল দলের উপ-পরিচালক (খনন ও প্রকৌশল) খন্দকার রবিউল ইসলাম, মাসুদ রানা, মিনহাজুল ইসলাম, জিএসবি’র ঊর্ধ্বতন প্রকৌশলী তানভিরুল হাসানসহ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কুপ খনন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর জিএসবি’র জ্যেষ্ঠ পরিচালক (ভূ-তত্ত্ব) আলী আকবর উপস্থিত সাংবাদিকদের এ বিষয়ে ব্রিফ করেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, মাটির উপর থেকে তামা লোহা বোঝা কঠিন,আমরা যেটা পেয়েছি সেটা বেজমেন্ট হাই। বেজমেন্ট হাইয়ের মধ্যে মেটালিক মিনারেল মানে ধাতব খনিজ পদার্থ অর্থাৎ ওজন বেশি, এটা তামা হতে পারে, লোহা হতে পারে, নিকেল হতে পারে, মেঙ্গানিজ হতে পারে, অন্য কোন আকরিক হতে পারে। আমরা তা নিশ্চিত হতে চাই।। উল্লেখ্য,বিগত ১৯৬৪ সালে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর সানেরহাট ইউনিয়নের ভেলামারি পাথার নামক স্থানে লৌহ খনির অবস্থান নির্নয় করেন। সে সময় লৌহ খনিতে প্রাপ্ত লৌহ পরিপক্ক ছিল না। খনি পরিপক্কতা লাভ করতে আরও কয়েকযুগ সময় লাগবে মর্মে উত্তোলন কাজ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ২০০০ সালে আবারও সানেরহাট ইউনিয়নের পাহাড়পুর নামক স্থানে দ্বিতীয়বার খনন করে লৌহ খনির অবস্থান নির্নয়ে ব্যর্থ হন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীগন। যে কারণে এ বছর আবারও খনির অবস্থান নির্নয়ে কুপ খনন কাজ শুরু করেছেন। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানান, এবারে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ফিট পর্যন্ত খনন করে লৌহ খনির যাবতীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করবেন।