নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বামীর পরকীয়ার জেরে স্ত্রী তাসলিমা আক্তার (২৫) নামে দুই সন্তানের জননী বিষপান করে আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্বামীসহ চারজনকে বিবাদী করে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২ডিসেম্ভর শনিবার দুপুরে অভিযুক্ত স্বামী মো. সুলতান মিয়া (২৬) কে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সুলতান মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত আট বছর পূর্বে পৌরশহরের দশাল ঠাকুরবাড়িকান্দা এলাকার সুলতান মিয়ার সঙ্গে বিবাহ হয় তাসলিমার। এরপর তাদের সংসারে দুই সন্তান আসে। তাদের সব কিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু গত তিন বছর আগে পার্শবর্তী ঝুমা আক্তার নামে এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন সুলতান মিয়া। এ ঘটনা তাঁর স্ত্রী তাসলিমা জানার পর তাকে ফেরাতে বাঁধা প্রদান করলে তাকে মারপিটসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতন করত তার স্বামী। ঘটনার দিন অর্থাৎ গত বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে তার স্বামী ও ঐ নারীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে তাসলিমা। ঐ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঐদিনই তার স্বামী তাকে মারধর করে এবং স্বামীসহ অন্য অভিযুক্তরা তাকে আত্মহত্যা করার প্ররোচনা দিলে সে নিজ ঘরে বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করেন চিকিৎসক। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩০নভেম্বর) রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তাসলিমা। এ ঘটনায় শনিবার (০২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিহত তাসলিমার বড় ভাই হারুন মিয়া বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে অভিযোগটি আমলে নিয়ে বিকেলে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে দুর্গাপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোহাম্মদ নূরুল আলম জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করে নিহতের ভাই। এ মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি (মৃত্যের স্বামীকে) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে এর আগে এ বিষয়ে দুর্গাপুর ইউনিয়ন কার্যালয়ে কয়েক দফা বৈঠক হয়েছে বলে একাদিক সূত্র খেকে জানাযায়।